• ‘অবশ্যই সমালোচনা হবে, তাতে যেন শিক্ষার ছাপ থাকে’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে সরব সুমন
    আনন্দবাজার | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • তিনি কোনও দিন সমালোচিত হননি, এমন নয়। আনন্দবাজার ডট কম-কে সুমন মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘বরাবর সাহিত্যধর্মী কাজ করেছি। আগাগোড়া আমার কাজ নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে।’’ যা অব্যাহত তাঁর সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়েও। সমাজমাধ্যমে দর্শকের একাংশের সমালোচনার জবাবও দিলেন তিনি।

    কেন জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলেন পরিচালক? স্বপক্ষে জবাব দিতে গিয়ে নাট্যব্যক্তিত্ব তথা অভিনেতা-পরিচালকের দাবি, ‘‘সমালোচনা করতে জানতে হয়। সমালোচনা করাও কিন্তু এক ধরনের শিল্প।’’ তাঁর মতে, ‘‘সমালোচনায় আপত্তি নেই। কিন্তু সেই সমালোচনায় যেন শিক্ষার ছাপ থাকে।’’

    মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’কে পর্দায় তুলে ধরা খুব সহজ কাজ নয়। উপন্যাসটি রচনার ৯০ বছরে নিজের মতো করে সেই কাজ করেছেন সুমন। পরিচালকের দাবি, এখনও নন্দন-সহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহে দর্শক ছবিটি দেখতে আসছেন। তাঁরা প্রশংসা করছেন। এই সমর্থন তাঁকে উদ্বুদ্ধ করছে। ঠিক যে ভাবে তাঁর অনেক পরিচিত অবাঙালি দর্শক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ছবির মুক্তির ব্যাপারে নিজেদের উদ্যোগে সহযোগিতা করেছেন।

    তবে এর বিপরীত ছবিও রয়েছে। দর্শকদের একাংশ ‘আপত্তিকর’ ভাষায় সমাজমাধ্যমে তাঁকে, তাঁর ছবিকে আক্রমণ করছেন। সুমনের প্রশ্ন, ‘‘এটা কেন হবে?’’

    আজকাল অভিযোগ উঠছে, যে কোনও বিষয় নিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোচনা-বিতর্কের পাশাপাশি আক্রমণ শানানোটাও খুব সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুমন সেই ‘বিকৃত মানসিকতা’র দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভদ্র ভাষাতেও কারও কাজ নিয়ে বক্তব্য পেশ করা যায়। আমি সেটুকুই চেয়েছি।’’ কিন্তু একজন শিল্পী হিসেবে সুমন সমাজমাধ্যমে এ ধরনের মন্তব্যের জবাব দিচ্ছেন কেন? কেন তিনি সরব হচ্ছেন? এতে তো অন্যায় আচরণকারীরাই প্রচার পাবেন! পরিচালকের যুক্তি, ‘‘মাঝে মাঝে প্রতিবাদ জানাতে হয়। নইলে নীরবতারও ভুল ব্যাখ্যা দাঁড়ায়।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)