• নদীতে কচুরিপানার গদি, পড়েও বাঁচলেন দৃষ্টিহীন
    এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়, বনগাঁ: বনগাঁর রাখালদাস সেতু থেকে ইছামতী নদীতে পড়ে গিয়েও প্রাণে বাঁচলেন দৃষ্টিহীন এক ব্যক্তি। ইছামতীর জলে জমে থাকা বিরক্তির কচুরিপানাই রক্ষাকবচ হল দৃষ্টিহীন শঙ্কর পালের জীবনে। কচুরিপানার মধ্যে তিনি আটকে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। পরে বনগাঁ পুরসভার কচুরিপানা কাটার নৌকা গিয়ে শঙ্করকে উদ্ধার করে। তিনি সুস্থ আছেন।

    উদ্ধারের পর বনগাঁ থানার পুলিশ পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছেন শঙ্করকে। বনগাঁ পুরসভার গান্ধীপল্লির বাসিন্দা শঙ্কর পাল লটারির টিকিট বিক্রেতা। বনগাঁর শিমুলতলার বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছে লটারির টিকিট বিক্রির কিছু টাকা পেতেন তিনি। ওই ব্যক্তি শঙ্করকে টাকা নিতে বনগাঁর রাখলদাস সেতুর উপরে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন।টাকা নিতেই এসেছিলেন শঙ্কর।

    সোমবার প্রখর রোদে হঠাৎই মাথা ঘুরে সেতু থেকে তিনি পড়ে যান ইছামতী নদীতে। সাধারণত এই ধরনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু ইছামতীর জলে ভাসমান কচুরিপানায় আটকে গিয়ে প্রাণরক্ষা হলো দৃষ্টিহীন শঙ্করের। সম্প্রতি কচুরিপানা কেটে পরিষ্কার করার জন্য বনগাঁ পুরসভা তৈরি করেছে হ্যান্ড মেড মেশিন। সেই মেশিন যুক্ত নৌকা নিয়ে কচুরিপানা কেটে শঙ্করের কাছে গিয়ে পৌঁছন জঞ্জাল দপ্তরের এক কর্মী। নিরাপদে শঙ্করকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়।

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, ‘কচুরিপানা কাটার হ্যান্ড মেড মেশিন যুক্ত নৌকা নিয়ে জঞ্জাল দপ্তরের কর্মীদের তৎপরতায় ওই ব্যক্তির জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।’ শঙ্কর বলেন, ‘টিকিট বিক্রির টাকা নিতে এসেছিলাম রাখালদাস সেতুর উপরে। কিন্তু মাথা ঘুরে পড়ে যাই। আর কিছু মনে ছিল না।ভাগ্যক্রমে কচুরিপানায় আটকে বেঁচে গেলাম।’

  • Link to this news (এই সময়)