মনোজ মণ্ডল: ছেলে আইটিআই পাস করে হরিয়ানার একটি কোম্পানিতে চাকরি করত। বাংলায় কোনও মহিলার সঙ্গে সে সম্পর্কে জড়িয়েছে কিনা তার কিছুই জানতেন না। এমনটাই জানালেন মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণে নিহত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সচিদানন্দ মিশ্রের বাবা অশ্বিনী মিশ্র। উত্তরপ্রদেশ থেকে মঙ্গলবার তিনি বারাসতে এলেন ছেলের মৃতদেহ নিতে।
রবিবার মধ্যরাতে মধ্যমগ্রাম স্টেশনের বাইরেই একটি স্কুলের সামনে এক বিস্ফোরণে মারা যায় উত্তরপ্রদেশের যুবক সচিদানন্দ মিশ্র। তার পাশে থাকা একটি ব্যাগে থাকা বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায়। এই সেই বোমা সচিদানন্দ নিজে এনেছিল নাকি ব্যাগটি অন্য কারও তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ওই ঘটনায় উঠে আসে মধ্যমগ্রামের এক বিবাহিত মহিলার নাম। তদন্তে উঠে আসছে লালিমা নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সচিদানন্দের। তাকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আটক করছে এসটিএফ। তার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
প্রতিবেশীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে লালিমার সম্পর্ক নিয়ে আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ফলে সম্পর্ক যে ছিল তা স্পষ্ট। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আগেও একাধিকবার মধ্যমগ্রামে আসে ওই যুবক। কিন্তু ছয় মাস আগে থেকেই ওই তরুণী সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্রের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপরেই ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে সচিদানন্দ।
অন্যদিকে বিস্ফোরণে মৃত সচিদানন্দ মিশ্রের বাবা অশ্বিনী কুমার মিশ্র উত্তরপ্রদেশ থেকে বারাসাতে এসেছেন ছেলের মরদেহ নিতে। তিনি বলেন, ছেলের সঙ্গে যখন শেষ কথা হয় তখন ছেলে বেনারস ছিল। সচিদানন্দ হরিয়ানায় একটি চাকরি করত। কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কিনা তা ওর মোবাইল থেকে পাওয়া যেতে পারে।
মধ্যমগ্রামের কোনও মহিলার সঙ্গে ছেলের সম্পর্কের ব্যাপারে তার বাবা অশ্বিনীকুমার মিশ্র কিছুই জানতেন না। ছেলে আইটিআই পাস করেছিল। এই ওই তরুণীকে খুন করার জন্য সে কোনও বোমা বানিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।