পিয়ালী মিত্র: মধ্যমগ্রামের ঘটনা তদন্ত উঠে আসছে একের পর নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সচ্চিদানন্দ মিশ্র মধ্যমগ্রামে এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়।
সেই বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে আগেও একাধিকবার মধ্যমগ্রামে আসে ওই যুবক। কিন্তু ছয় মাস আগে থেকেই ওই তরুণী সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মৃত সচ্চিদানন্দ মিশ্রের সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপরেই ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে মৃত যুবক।
১৬ আগস্ট এরাজ্যে আসেন। হাওড়া স্টেশন ট্রেন থেকে নামার পর তিনি সোজা চলে যায় মধ্যমগ্রামে। সেখানেই তিনি শনিবার এবং রবিবার ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু বাড়ি খুঁজে বের করতে না পারায় দুদিন স্টেশন সংলগ্ন ওই এলাকায় ঘুরে বেড়ান তিনি।
সূত্রের দাবি, সচ্চিদানন্দ সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্কের কথা তাঁর মা-বাবাও জানতেন। ইতিমধ্যেই সেই তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস। আরও জানা গিয়েছে, এই নিয়ে মৃত যুবক মানসিক অবসাদের ভুগছিলেন। পরিবারের সদস্যরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিস সূত্রের খবর। যে বিস্ফোরক তৈরি করেছিল সেটি দিয়ে কি ওই তরুণীর ওপর আক্রমনের ছক ছিল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
ঘটনার সূত্রপাত:
গত রবিবার রাতের ঘটনা। রাত প্রায় একটা। বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মধ্যমগ্রাম হাইস্কুলের সামনের রাস্তা। ধ্যমগ্রাম স্টেশনসংলগ্ন স্কুল গেটের সামনেই এক ব্যক্তির পাশে থাকা বোমা ফেটে যায়। ওই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। তাঁকে প্রথম মধ্যমগ্রাম হাসপাতাল, সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সোমবার সকালে বারাসাত হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম শ্রীধর মিশ্র। বাড়ি, উত্তরপ্রদেশে। কী কারণে তিনি ব্যাগে বোমা নিজে হাজির ছিলেন মধ্যমগ্রামে? কীভাবেইবা বিস্ফোরণ ঘটল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বেঙ্গল এসটিএফ। এখনও পর্যন্ত যেটুকু জানা গিয়েছে, ITI পাস ওই যুবক কাজ করতেন হরিয়ানার একটি গ্লাস কারখানায়। কাজে সুবাদে ডিভাইস বানিয়েছিলেন তিনি নিজেই।