• রোহিতের পর আনন্দপুর খালেই রনিতারও দে*হ! কীভাবে ডুবে গেল দুজন? CCTV ফুটেজে হাড়হিম...
    ২৪ ঘন্টা | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: আনন্দপুরকাণ্ডে অবশেষে উদ্ধার হল তেইশের তরুণীর দেহ। খাল থেকেই উদ্ধার রনিতার দেহ। চিনা মন্দির সংলগ্ন খাল থেকে উদ্ধার হল যুগলের দেহ। 

    সকালে উদ্ধার হয়েছিল রোহিত আগরওয়ালের মৃতদেহ। স্টিল ব্রিজের সামনে থেকে তার দেহ জল থেকে তোলা হয় ডুবুরির মাধ্যমে। কিন্তু তারপরে ঝেঁপে বৃষ্টি নামায় উদ্ধার কার্য বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। ডুবুরিরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। দুপুর দুটো নাগাদ উদ্ধার হয় সেই স্কুটি। এর পরেই আসরে নামে কলকাতা পুলিসের স্নিফার ডগ রাজ। স্কুটির টুল বক্স থেকে একটি রুমাল বের করে তা শোকার পরই খালের পাড় দিয়ে যেখানে রোহিতের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই জায়গা অবধি ছুটে আসে পুলিস কুকুর।

    তারপরেই কলকাতা পুলিস সিদ্ধান্ত নেয় যে, দুদি দুদিক থেকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপে ডুবুরিরা নামবেন। সেইমতো নিখোঁজ যুবতীর দেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয় দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ। সেই স্টিল ব্রিজের সামনে এসেই রনিতার দেহ খুঁজে পায় ডুবুরিরা। সোমবার যে পোশাক পড়ে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল তা ওই সকাল থেকে তোলা নিষ্প্রাণ দেহে রয়েছে বলে রনিতার প্রতিবেশীরা জানান। দেহ তুলে নিয়ে আনন্দপুর থানায় নিয়ে যান পুলিস আধিকারিকেরা। তারপর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের ডুবুরিরা দেহ উদ্ধার করেন সংশ্লিষ্ট মহিলা রনিতা বৈদ্য বলেই প্রাথমিক অনুমান।

    সিসিটিভি ফুটেজ:

    প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে যা সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে যে ঘটনার ৪৫ মিনিট আগে তারা খালের ধারে আসে। রোহিত পঞ্চান্ন গ্রাম থেকে আসে। তারপরে রনিতা স্কুটি চালানোর কিছুক্ষণ ব্যস্ত ছিল। এরপর সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় যে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়েছে এবং একসময় তা নাকি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এমন কথাই বলেছেন। পুলিস সূত্রে খবর এরপরেই নাকি সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে রনিতা নাকি খালের ধারের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু সেখানে অন্ধকার থাকায় আর সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ছেলেটিকেও সেদিকে এগোতে দেখা গিয়েছে। এরপরে আর কিছু দেখা যায়নি। 

    অনুমান যে রনিতা ঝাঁপ দিয়ে থাকতে পারে খালে এবং তাকে বাঁচাতে ছেলেটিও ঝাঁপ দেয়। কারণ স্কুটি নিয়ে যদি দুজনে খালে পড়ে যেত তাহলে একজন আরেকজনকে বাঁচানোর জন্য ধরার চেষ্টা করত তাহলে সে ক্ষেত্রে দুজনে একই সঙ্গে ধরা অবস্থায় দুটো দেহ একসঙ্গে উদ্ধার হত। শেষ পর্যন্ত কিছু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের আসার পরেই জানা যাবে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)