অয়ন ঘোষাল: আনন্দপুরকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। সোমবার রাত থেকে ডুবুরি নামানো হয় তেইশের তরুণীর উদ্দেশ্যে। কিন্তু মঙ্গলবার খাল থেকে উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। এবং সেই দেহ রোহিত আগরওয়ালের। তাঁর হাতের মুঠোয় পাওয়া গিয়েছে স্কুটির চাবি। ফলে গোটা ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল। রহস্যের আঁচ এখন সপ্তমে।
ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, কোথায় তেইশের তরুণী রনিতা? রনিতাই কি ধাক্কা দিয়েছে রোহিতকে? কীভাবে মৃত্যু হল রোহিতের? উঠছে নানান চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন। এতক্ষণ মনে করা হচ্ছিল রোহিত ধাক্কা দিয়ে খুন করেছে রনিতাকে। কিন্তু খাল থেকে রোহিতেরই দেহ উদ্ধারে পুরো ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
আসলে স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুটি শেখাতে এসে ঝামেলা। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ লক্ষ্য করেন দুজনের মধ্যে ঝগড়া চলছে। রনিতাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেয় রোহিত। তারপর হঠাৎ কেউই নেই। পড়ে রয়েছে স্কুটি ও একটি মোবাইল ফোন। স্থানীয়দের সন্দেহ হয় যে, তরুণীকে খালে ধাক্কা মেরে ফেলে পালিয়েছেন যুবক। এরপর খবর দেওয়া হয় আনন্দপুর থানায়। ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয় জানার পর ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও ডুবুরি। সোমবার রাত সাড়ে ১২ টায় খালে নামানো হয় ডুবুরি। পঞ্চান্নগ্রাম এলাকা থেকে ঘটনাস্থলে চলে আসেন যুবতীর পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাশি। কিন্তু যুবতীকে পাওয়া যায়নি।
রনিতার দিদি জানিয়েছেন, ৫ মাস আগে রানিতার বাবা তাঁর মেয়েকে স্কুটি কিনে দেন। রোহিত দীর্ঘদিন ধরে রনিতার বন্ধু। ৫ মাস ধরে স্কুটি শেখায়। পঞ্চান্ন গ্রাম থেকে রোহিত স্কুটি করে রানিতাকে এই এলাকায় নিয়ে আসে। তারপর এখানে এসে রনিতা স্কুটি চালিয়ে প্র্যাকটিস করে।
রোহিত এবং রনিতা দুজনেই উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা। রোহিত পেশায় একটি অ্যাপ পরিষেবা বাইক চালাত (ব্লিঙ্কিট)।