রাজ্যে আচমকা বন্ধ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি, বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্যভবনের
প্রতিদিন | ১৯ আগস্ট ২০২৫
অভিরূপ দাস: রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল ভর্তি প্রক্রিয়া! এমবিবিএস, বিডিএস কোর্সে আপাতত কাউকে ভর্তি করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যভবনের এহেন নোটিস পেয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে NEET উত্তীর্ণরা। ফের কবে তাঁরা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়ে ডাক্তারি কোর্স শুরুর সুযোগ পাবেন, জানেন না। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের অনুমান, ওবিসি জটের কারণেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নতুন কোর্সে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্যভবনের এই নোটিসের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন পড়ুয়া ও মেডিক্যাল সংগঠনগুলি।
স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, NEET-এ উত্তীর্ণদের এমবিবিএস ও বিডিএস, এমডিএস অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ। কারণ হিসেবে কিছু জানানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্যভবনের অন্দরের খবর, কিছু আইনি জটিলতার জন্য এই সিদ্ধান্ত। আর তাতেই অনুমান করা হচ্ছে, ওবিসি সংরক্ষণ সার্টিফিকেট নিয়ে আইনি জট এখনও কাটেনি। বিষয়টি বিচারাধীন। সেই কারণেই ডাক্তারিতে ভর্তি প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হল। হয়ত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ওবিসি নিয়ে এই জটিলতার কারণে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফলও প্রকাশ করা যায়নি।
এনিয়ে AIDSO রাজ্য মেডিকেল ইউনিটের আহ্বায়ক ডাঃ সামস মুসাফিরের বক্তব্য, “স্বাস্থ্যভবন একটি নোটিস জারি করে MBBS ও BDS ভর্তি প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। এর ফলে NEET-UG উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল। এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। যেভাবে আইনি জটিলতা তৈরি করে সেটাকে অজুহাত করে উচ্চশিক্ষার সমস্ত ক্ষেত্রে ভর্তি প্রক্রিয়া বানচাল করে রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেলে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের সময় সংকুচিত হবে, যার প্রভাব কেবল ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ওপর নয়, স্বাস্থ্য পরিষেবার মানের উপরও পড়বে। তাই আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে সমস্ত রকম সমস্যা তৎপরতার সাথে সমাধান করে ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে এবং ক্লাস চালু করতে হবে। অবিলম্বে এই পদক্ষেপ না নিলে রাজ্যজুড়ে ছাত্র সমাজ বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”