দিশা ইসলাম: চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ফের উত্তাল রাজপথ। নিয়োগ চেয়ে পথে নামলেন ২০২২ টেট উত্তীর্ণরা। যা ঘিরে উত্তাল বিধাননগর। কার্যত অবরুদ্ধ করুণাময়ী মোড়। দ্রুত নিয়োগ চেয়ে আজ মঙ্গলবার পর্ষদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেই মতো করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীরা জমায়েত শুরু করেন। আর তা শুরু হতেই পুলিশের তরফে শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়। যা ঘিরে একেবারে রণক্ষেত্রের আকার নেয় পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের। যদিও চ্যাংদোলা করে বিক্ষোভকারীদের প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
প্রাথমিকে অবিলম্বে ৫০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে। সেই দাবিতে এদিন ‘কলকাতা চলো’র ডাক দেন ২০২২ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথমে করুণাময়ী মোড়ে জমায়েত করার কথা ছিল তাঁদের। সেখান থেকে পর্ষদ অফিস যেতেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে যে কোনও ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন সকাল থেকেই করুণাময়ী এলাকায় মোতায়েন ছিল বিধাননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশবাহিনী।
সেই মতো জমায়েত শুরু হতেই পুলিশের তরফে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এমনকী করুণাময়ী মেট্রো স্টেশন থেকে আন্দোলনকারীরা বেরতেই একে একে সবাইকে আটক করা হয়।
এরপরেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও কেউ কেউ পুলিশের নজর এড়িয়েই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে পৌঁছে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয় পুলিশ। যা নিয়ে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ জোর করে আটক করে।” তাঁদের আরও দাবি, গত তিনবছর ধরে নিয়োগের পথ চেয়ে বসে আছি। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন পর্ষদ। আন্দোলনকারীদের হুমকি, আজ মঙ্গলবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। না হলে বৃহৎ আন্দোলনের পথে তাঁরা হাঁটবেন।
অন্যদিকে এখনও প্রকাশিত হয়নি জয়েন্টের ফল। তার প্রতিবাদে এদিন বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেয় এসফিআই। বাম ছাত্র সংগঠনের এই অভিযান ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।