‘পুলিশ ভালো কাজ করেছে…’, জামিন পেয়ে আর কী বললেন হিন্দোল, স্পেনে ফিরতে পারবেন আর?
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৯ আগস্ট ২০২৫
‘পুলিশ ভালো কাজ করেছে। পুলিশকে নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই!’ তিনদিনের পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে এটাই ছিল হিন্দোল মজুমদারের নিরুত্তাপ প্রতিক্রিয়া। আলিপুর আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা স্পেনের প্রবাসী পড়ুয়া হিন্দোল মজুমদারকে। ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলার ঘটনায় স্পেন থেকে দেশে ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনদিনের হেফাজতে থাকার পর তাঁকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। কিছু শর্তসাপেক্ষে ১০০০ টাকার বন্ডে ছাড়া পান তিনি।
গত ১ মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা করা হয়। এই ঘটনাতেই অন্যতম জড়িত হিসেবে পুলিশের নজরে পড়ে হিন্দোল মজুমদার। পুলিশের দাবি, স্পেনের প্রবাসী হলেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপ মারফত এই কাজে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তাই কলকাতা ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশের গ্রেফতারিকে অনেকেই অতিসক্রিয়তা হিসেবে দেখছেন। সংবাদমাধ্যম ঠিক এই প্রশ্নটাই করে হিন্দোলকে সোমবার সন্ধেয়। তার বদলে পুলিশের একরকম ‘প্রশংসাই’ করলেন হিন্দোল। যা শুনে অনেকে একে ‘ব্যঙ্গ’ বলেও মনে করছেন।
সোমবার আদালতে হাজির করানো হলে আইনজীবী গোপাল হালদার হিন্দোলের হয়ে সওয়াল করেন। ‘ভদ্রলোকের ছেলে’ ও ‘শিক্ষাগত যোগ্যতার’ যুক্তি দেখিয়ে জামিন চান। হিন্দোলের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল কলকাতায় থাকেন না। স্পেনে থাকেন। ঘটনার সময় তিনি এখানে উপস্থিত ছিলেন না। বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতেই দেশে ফিরেছিলেন। কিন্তু ফেরার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী বলেন, হিন্দোল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরিতে যুক্ত ছিলেন। জামিনের বিরোধিতা করা হয়। কেস ডায়েরিতে হিন্দোলের জড়িত থাকার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে বলে আদালতে জানানো হয়।
বিচারক দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হিন্দোলকে ১০০০ টাকার বন্ডে জামিন দেন। তাঁকে জানানো হয়, আগামী দুই সপ্তাহে দু’বার করে থানায় হাজিরা দিতে হবে। এছাড়াও, যত দিন তদন্ত চলবে, তত দিন মামলার শুনানির সময় হাজির থাকতে হবে। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল, সাক্ষীদের প্রভাবিত করা যাবে না।