• বাঁকুড়ায় ক্লাসরুম থেকে উদ্ধার শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ, আত্মহত্যা নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু? রহস্য
    এই সময় | ১৯ আগস্ট ২০২৫
  • স্কুলের মধ্যে শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি বাঁকুড়া সদর থানার কালপাথর বীণাপাণি হাইস্কুলের। মঙ্গলবার বিকেলে ওই স্কুলের ১৮ নম্বর ঘর থেকে অঙ্কের শিক্ষক উজ্জ্বলকুমার দাসের (৫৭) দেহ উদ্ধার হয়। স্কুলের বাকি শিক্ষকরা প্রথম উজ্জ্বলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। উজ্জ্বলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, উজ্জ্বলের বাড়ি বাঁকুড়ার শ্রীনগরে। অন্য দিনের মতোই এ দিন উজ্জ্বল স্কুলে এসেছিলেন। স্কুলে এসে তিনি ক্লাসও করান। তবে এ দিন স্থানীয় একটি পুজোর কারণে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কম ছিল। তাই টিফিনের সময়েই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষিকারাও স্কুল থেকে বেরিয়ে যান। তবে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অফিসের কাজের জন্য স্কুলে ছিলেন উজ্জ্বল।

    স্কুল সূত্রে খবর, প্রায় সকলেই যখন কাজ শেষ করে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁরা স্কুলের বাইরে উজ্জ্বলের বাইক দেখতে পান। সে সময়ে সকলে উজ্বলের খোঁজ শুরু করেন। তার পরেই তাঁরা স্কুলের উপরের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উজ্জ্বলকে দেখতে পান। স্কুলের একজন শিক্ষক দীপককুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা নীচে কম্পিউটার রুমে বসে কাজ করছিলাম। আজকে স্কুলে অনেক কম পড়ুয়া এসেছিল। উজ্জ্বলের বাইক বাইরে দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তার পরে উপরের ঘরে গিয়ে দেখি এই ঘটনা। উনি খুবই শান্ত ও ভালো মানুষ ছিলেন। মঙ্গলবার স্কুলে আসার পরেও স্বাভাবিক ছিলেন। আমাদের সহকর্মী যে এ রকম করবেন তা আমরা ভাবতে পারিনি।’

    পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, উজ্জ্বল আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা জানা যায়নি। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি বলেছেন, ‘উজ্জ্বলের দেহ উদ্ধারের পরেই তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)