• ঘরের মধ্যে পড়ে কুকুর-বিড়ালের দেহ! ‘ভাগাড় মাংস’-র চক্র? পর্ণশ্রীতে শোরগোল
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • পর্ণশ্রীতে একটি ‘পেট শেল্টার’ বা পশু আশ্রয়কে কেন্দ্র করে ছড়াল তীব্র উত্তেজনা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই পেট শেল্টারের ভিতরে কুকুর এবং বিড়ালদের দেহাংশ পড়েছিল। পশুদের মাংস পাচারের চক্র চলছিল সেখানে, সন্দিহান এলাকাবাসী। পাল্টা স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পেট শেল্টার কর্তৃপক্ষও। মঙ্গলবার সকালে পর্ণশ্রী থানায় দু’টি পৃথক অভিযোগ জমা পড়েছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে। অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

    ঘটনাটি ঘটেছে পর্ণশ্রী এলাকায় সাগর মান্না রোডে। সেখানে একটি বাড়িতে গত দেড় মাস ধরে পশু আশ্রয়কেন্দ্র চালাচ্ছিল একটি সংস্থা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি সেই বাড়ি থেকে তাঁরা দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। ওই সংস্থার কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সদুত্তর মেলেনি।

    এর পরে সোমবার এলাকার কিছু মানুষজন বাড়িটিতে ঢুকে পড়েন। এলাকাবাসীর দাবি, সেখানে বিড়ালদের অযত্নে রাখা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, একাধিক সারমেয় এবং বিড়ালদের দেহ সেখানে পাওয়া গিয়েছিল বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা। স্থানীয়দের সন্দেহ, পশুদের মাংস পাচারের মতো কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই সংস্থা। সোমবার রাতে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে এলাকাবাসীর।

    পর্ণশ্রী থানায় বিশালাক্ষীতলা রোডের বাসিন্দা সোমনাথ মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তি ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে, ওই পশু আশ্রয়কেন্দ্রের তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, সোমনাথ মিস্ত্রি-সহ আরও কয়েকজন ওই পশু আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন এবং সংস্থার কর্মীদের মারধর করেন। জামা ছিঁড়ে দেন এবং অশালীন ভাষায় অপমান করেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, কুকুর এবং বিড়ালের দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। ফরেন্সিক রিপোর্ট সামনে এলেই তাদের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সঞ্চিতা মিত্র ‘এই সময়’-কে জানিয়েছেন, ওই পশু আশ্রয় থেকে ১৬টি কুকুর এবং বিড়াল উদ্ধার হয়েছে। কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে তাদের খাওয়া এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কিছু কুকুর এবং বিড়ালের দেহাংশ সেখানে পড়েছিল বলে জানান তিনি। সংস্থাটি বাড়িভাড়া বাবদ মাসে ৮০ হাজার টাকা করে দিত বলে জানা গিয়েছে। এর আড়ালে কোনও বেআইনি কারবার চলছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)