বাবা-মাকে না জানিয়ে কার্শিয়াংয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন হাওড়ার সপ্তনীল। আর সেখানে থেকে ফেরা হলো না তাঁর। সোমবার ভোরে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে হোমস্টের ব্যালকনি থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ছেলের বন্ধুর কাছ থেকে খবর পেয়ে কার্শিয়াংয়ে ছুটেছিলেন বাবা-মা। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে ফোনে মৃত সপ্তনীলের বাবা ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘আমার একটাই আবেদন, আমার ছেলে যেন সঠিক বিচার পায়।’
যখন ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় ফোনে এই কথা জানাচ্ছেন, তখন হাসপাতালের মর্গে তাঁর ছেলের দেহের ময়নাতদন্ত হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পরে গাড়িতে করে দেহ নিয়ে বাগনানে ফিরবেন তাঁরা। ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরে এখানে এসে সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে। চার বান্ধবী ও এক বন্ধুর সঙ্গে সপ্তনীল এখানে এসেছিল। আমি সকলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’ তিনি জানান, তাঁর ছেলে যে ঘুরতে এসেছে সেটা তাঁরা জানতেন না। সপ্তনীলের এক বন্ধু আয়ুষ্মান বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানান। ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, ‘ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই মাথা কাজ করছে না। আমি চাই আইন আইনের পথে চলুক। তদন্ত হোক। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাহলে তার উপযুক্ত শাস্তি হোক।’
পরিবারের দাবি, সপ্তনীল খুব হাসিখুশি ছেলে ছিলেন। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর থেকে শোকে পাথর মা কেয়া চট্টোপাধ্যায়। বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তিনি, কথা বলার মতো অবস্থাতেও নেই তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালে সপ্তনীলের দেহ দেউলটির সামতার বাড়িতে পৌছনোর কথা।
সপ্তনীল ৫ জন বন্ধুর সঙ্গে কার্শিয়াংয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তনীল ছাড়াও আরও এক পুরুষ এবং চার জন মহিলা ছিলেন ওই দলে। হোমস্টের ব্যালকনি থেকে পড়ে যাওয়ার পরে গুরুতর জখম হন তিনি। কার্শিয়াং সাব ডিভিশনাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।