এক ঘণ্টায় টাকা ডবল! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখেই সর্বস্বান্ত যুবক
বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: এক ঘণ্টায় টাকা ডবল! সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করতে করতে এমনই একটি ভিডিও দেখে আটকে যায় চোখ। তারপরই লোভে পড়ে টাকা লগ্নি করতে চেয়ে ওই ভিডিওতে কমেন্ট করেন রাজগঞ্জের চালহাটি ভাঙামালি এলাকার এক যুবক। ব্যস, ওই মেসেজ পাওয়ামাত্র জাল বিছানোর কাজ শুরু করে সাইবার প্রতারকরা। প্রথমে ফোন আসে যুবকের মোবাইলে। তারপরই হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠানো হয় কিউআর কোড। ৫০০ টাকা দিয়ে লগ্নি শুরু করেন আব্দুল হান্নান। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে লগ্নির পরিমাণ। শেষমেশ লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে হুঁশ ফেরে ফাস্টফুডের ওই দোকানদারের। বুঝতে পারেন, সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন তিনি। টাকা ডবল হওয়া তো দূরের কথা যে টাকা লগ্নি করেছেন সেটাও আর ফিরে পাওয়ার কোনও আশা নেই। এরপরই আজ, মঙ্গলবার এক বন্ধুকে নিয়ে জলপাইগুড়ির সাইবার থানার দ্বারস্থ হন আব্দুল। দায়ের করেন লিখিত অভিযোগ। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জলপাইগুড়ি সাইবার থানার পুলিস।এদিকে, লক্ষাধিক টাকা খুইয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন রাজগঞ্জের আরও দুই যুবক। কারণ, নিজের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ৬০ হাজার টাকা লগ্নি করার পর একাধিক বন্ধুর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকাও অনলাইনে লগ্নি করেন। কিন্তু প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে সব টাকা যে এভাবে খোয়াতে হবে তা না কী তাঁরা ভাবতেই পারেননি!এদিন জলপাইগুড়ি থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে সর্বস্বান্ত ওই যুবক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে টাকা ডবল করার লোভে পড়ে যাই। ওই ভিডিওতে বলা হয়েছিল, এক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাবে টাকা। সেটা দেখেই লগ্নি শুরু করি। কিন্তু তার পরিণতি যে এমনটা হবে তা ভাবতে পারিনি। যুবকের দাবি, প্রতিবার টাকা দেওয়ার জন্য আমাকে আলাদা কিউআর কোড পাঠানো হতো। কখনও আবার বলা হতে রেজিস্ট্রেশন না করলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না। রেজিস্ট্রেশন করার জন্যও টাকা লাগবে। কখনও আবার বলা হত আরও কিছু টাকা লগ্নি করলে একবারে মোটা টাকা ফেরত পাব। সবটাই যে সাইবার প্রতারকদের ছল এটা বুঝতে দেরি হয়েছে।