টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্কুল ভবনের দোতলায় উদ্ধার হল এক শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের কালপাথর বীণাপানি হাইস্কুলে। মৃত শিক্ষকের নাম উজ্জ্বলকুমার দাস (৫৮)। তাঁর বাড়ি আইলাকান্দি এলাকায়। ‘খুন’ নাকি ‘আত্মহত্যা’, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্কুল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর পাঁচটা দিনের মতো এদিনও ওই শিক্ষক স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে এসেছিলেন। ক্লাসও নিয়েছিলেন। টিফিনের পর স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য শিক্ষকরা কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার আগে খোঁজ পড়ে উজ্জ্বলকুমার দাসের। স্কুলের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু হয়। পরে স্কুলবাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। ক্লাসরুমের মধ্যেই দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, টিফিনের পর দোতলায় উঠে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হন উজ্জ্বলবাবু। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি ভিন্ন। মৃত শিক্ষকের স্ত্রী আলোলিকা দাস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের কাজের চাপে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। স্ত্রীর কথায়, “অতিরিক্ত দায়িত্বের চাপই স্বামীকে ভেঙে দেয়।” অন্যদিকে, সহকর্মীদের একাংশের মতে, পারিবারিক কারণেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে উজ্জ্বলবাবুকে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি। ফলে মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ‘খুন’ নাকি ‘আত্মহত্যা’? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তারও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এতে জল্পনা আরও বেড়েছে।