সুবীর দাস, কল্যাণী: কল্যাণী এইমস হাসপাতালে সার্ভের নামে ঘুরপথে এনআরসি করার অভিযোগ উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় এই হাসপাতালের তরফে এই অভিযোগ মানতে চাওয়া হয়নি। হাসপাতালে হেলথ সার্ভে হচ্ছে। এনআরসির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই বলে এইমসের তরফে জানানো হয়েছে।
বিহারে এসআইআর চলছে। বাংলাতেও কি এসআইআর হবে? তাই নিয়ে জোর চর্চা চলছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, বাংলায় কবে এসআইআর হবে, সময়মতো জানানো হবে। সেই আবহের মধ্যেই এবার বিস্ফোরক বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণী এইমসের বিরুদ্ধে মেন্টাল হেলথ সার্ভের নামে ঘুরপথে এনআরসি হচ্ছে। সেই অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তোপ দেগে তিনি বলেন, “কল্যাণী এইমসকে বলব ভালো করে কাজ করুন। রোগীদের সুস্থ করুন। আমরা আপনাদের সাহায্য করেছি। আরও সাহায্য করব। দয়া করে এই খেলাটা খেলবেন না। রাজ্যের নিজের মেন্টাল হেলথ বিভাগ আছে। এটা আপনাদের কাজ নয়।”
তিনি আরও বলেন, “কল্যাণী এইমসকে আমরা জমি দিয়েছি। অথচ হেলথ সার্ভের নামে এনআরসির কাজ করছে। অনেক এজেন্সি সার্ভের নামে এনআরসির কাজ করছে এইমস। সতর্ক থাকুন। একমাত্র রাজ্য সরকার করতে পারে সার্ভে। কল্যাণী এইমসকে বলছি, আপনাদের পরিষেবা দেওয়ার কাজ পরিষেবা দিন।” রাজ্যের সাধারণ মানুষকে সাবধান করে মমতা বলেছেন, “অনেক এজেন্সি, অনেক সংস্থার নাম করে বাড়ি বাড়ি সার্ভে করছে। আপনার ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেবে বলে। কাজেই সতর্ক থাকুন। সজাগ থাকুন। রাজ্য সরকারি আধিকারিক ছাড়া কাউকে কোনও তথ্য দেবেন না।” এই বক্তব্যের পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মধ্যে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথা মানতে চায়নি এইমস কর্তৃপক্ষ। কল্যাণী এইমস হাসপাতালের সিনিয়র প্রফেসর ডাক্তার সুকান্ত সরকার বলেন, “হেলথ সার্ভে হচ্ছে, পূর্বেও হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে হচ্ছে। রাজ্য সরকার, স্বাস্থ্য ভবন, আর জি কর, এইমস-এর চিকিৎসকরা রয়েছেন। সকলকে নিয়েই এই সার্ভে হচ্ছে। এনআরসির সঙ্গে এই সার্ভের কোনও যোগ নেই।