বঙ্গে বছর ঘুরলেই ভোট। রাজনৈতিক মহলে তৎপরতা তুঙ্গে। এরই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করতে চলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতায় ক্যামাক স্ট্রিটে তমলুক সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেখানেই এ কথা জানিয়েছেন অভিষেক। যদিও বৈঠকটি কবে হবে, তা তিনি জানাননি।
বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে নন্দীগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু একাধিক বার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকী, ২০২৪ সালের মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ‘নন্দীগ্রামে যে প্রতারণা হয়েছে, আজ নয়তো কাল তার বদলা নেবই।’
স্বাভাবিক ভাবেই ২৬-এর বিধানসভা ভোটে এই বিধানসভা কেন্দ্র যে বাড়তি গুরুত্ব পাবে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষের কাছেই, তা একপ্রকার স্পষ্ট। সার্বিক প্রেক্ষাপটে নন্দীগ্রাম বিধানসভার তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে অভিষেক বৈঠক করলে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মতামত রাজনৈতিক মহলের।
মঙ্গলবার বৈঠকে উপস্থিত পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি নন্দীগ্রামকে নিয়ে আলাদা একটি বৈঠক করবেন। তবে কেন শুধু এই কেন্দ্রকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করতে চলেছেন, তার বিশদ ব্যাখ্যা তিনি দেননি।’
উল্লেখ্য, অগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সাংগঠনিক জেলা ধরে ধরে বৈঠক করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতেই তাঁর এই পদক্ষেপ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যদিও এর আগে কোনও একটি নির্দিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্বকে নিয়ে আলাদা করে কোনও বৈঠক তিনি করেননি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, নন্দীগ্রাম নিয়ে আলাদা স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দিতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।