• প্রতারণার নতুন কৌশল, UPI দেখলেই ভয় পাচ্ছেন বীরভূমের ব্যবসায়ীরা, ব্যাপারটা কী?
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • নগদ নিয়ে ঘোরার দিন শেষ। খুচরো পয়সা নিয়ে ঝামেলাও পোহাতে হয় না আর। লেনদেন হয় আঙুলের ছোঁয়ায়। সৌজন্যে UPI বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস। আমজনতার জীবন অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে। কিন্তু ইদানীং UPI-তে লেনদেন করতেই ভয় পাচ্ছেন বীরভূমের ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ এমনই।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশ সুত্রে খবর, প্রতারণার টাকা দিয়ে UPI-এর মাধ্যমে QR কোড স্ক্যান করে কেনাকাটা করছেন প্রতারকরা। এতেই বিপদ বাড়ছে দোকানদারদের। প্রতারণার টাকা ঢুকলেই ফ্রিজ হয়ে যাচ্ছে অ্যাকাউন্ট। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ফ্রিজ হয়ে যায়, আর সেভিংস অ্যাকাউন্ট হলে পুরো অ্যাকাউন্টটাই। কেন এমন হচ্ছে?

    লোকপুরের ব্যবসায়ী প্রভাস ঘোষের কথায়, ‘অ্যাকাউন্টে সাত হাজার টাকা ছিল। কিন্তু তুলতে পারছিলাম না। ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি, একজন ক্রেতা আমার QR কোড স্ক্যান করে সাত হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এই টাকা অন্য কারও কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ জানানোর পরে সেই পরিমাণ টাকা ভিন রাজ্যের একটি সাইবার ক্রাইম থানা থেকে ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। তার সঙ্গে আমার অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ হয়ে যায়।’

    সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতারকরা কারও থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরে তা ভার্চুয়াল ওয়ালেটে রাখে। সেই ওয়ালেট ফ্রিজ করা মুশকিলের কাজ। কিন্তু সেই ওয়ালেট থেকে যখন টাকা কোনও অ্যাকাউন্টে যায় সঙ্গে সঙ্গে সেটা ফ্রিজ হয়ে যায়।

    সিউড়ির ইলেকট্রিক সরঞ্জাম বিক্রেতা ভৈরব কর্মকার বলছেন, ‘আমার পরিচিত এক ব্যবসায়ীর সঙ্গেই এমনটা হয়েছে। তার পর থেকে আমিও সতর্ক হয়ে গিয়েছি। খুব পরিচিত না হলে UPI-তে আর টাকা নিচ্ছি না।’

    এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ। তিনি বলেন, ‘অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত প্রচার চলছে। আগামী দিনেও চলবে। তবে প্রতারকরা সবসময়েই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে। সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই কাজ করছি আমরা।’

  • Link to this news (এই সময়)