সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: পঞ্চদশ ও পঞ্চম অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থে কাজের নিরিখে শিলিগুড়ি মহকুমায় প্রথম নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি। ২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষে মহকুমায় উন্নয়নমূলক কাজে সর্বাধিক খরচের হার ৯৬ শতাংশ পেয়ে শীর্ষে এই পঞ্চায়েত সমিতি।
সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ বলেন, পঞ্চদশ ও পঞ্চম অর্থ কমিশনের বরাদ্দে মহকুমায় সবচেয়ে বেশি প্রকল্পের কাজে খরচ করেছি আমরা। রাস্তা, কালভার্ট, পানীয় জল, নালা, মুক্তমঞ্চ, শ্মশানঘাট, ছোট নদী বাঁধের মতো কাজগুলি হয়েছে। প্রায় ৪৫টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত করেছি।
তাঁর কথায়, ২০২৪-’২৫ আর্থিক বর্ষে কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে প্রায় ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ও রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজের জন্য অনুমোদন পাই আমরা। সেক্ষেত্রে ওই দু’টি অর্থ কমিশনের বরাদ্দ মিলিয়ে নকশালবাড়ি ব্লকজুড়ে প্রায় ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। হাতে নেওয়া প্রায় ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র দু’টি নালার ২০ শতাংশ কাজ বাকি। সেই কাজ সম্পন্ন হলে ১০০ শতাংশ হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কাজের নিরিখে চলতি মাসের ১৭ তারিখের রিপোর্ট অনুযায়ী খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি ৭২ শতাংশ, মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতি ৬৮ শতাংশ ও ফাঁসিদেওয়া ৭১ শতাংশ বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পেরেছে। যদিও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এই নিরিখে রাজ্যে অনেকটাই পিছিয়ে। রিপোর্ট অনুযায়ী মহকুমা পরিষদ মাত্র ৪০ শতাংশ বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পেরেছে।
এনিয়ে পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা প্রতিবছর অডিট হয়। একটি আর্থিক বর্ষের কাজ সম্পন্ন না হলে পুনরায় টাকা দেয় না। জেলার কাজের রেটিং নিয়মিত করা হয়। সেক্ষেত্র প্রথম কিস্তির অর্থ খরচ অনুযায়ী ৪০ শতাংশ হতে পারে। আমরা কাজের নিরিখে রাজ্যে দু’বার প্রথম স্থান অর্জন করেছি। এবারও সেই জায়গায় আশা করছি পৌঁছব। যেহেতু মহকুমা পরিষদে বড় অঙ্কের টাকার কাজ হয়, তাই সেই কাজগুলি শেষ হতে সময় লাগে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়। -