চুক্তি শেষেও চলছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট! দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ
বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দু’বছর ধরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে জল বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জলের দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হলদিবাড়ি ব্লকের উত্তর বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশেই প্লান্টটি। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষও।
গ্রামের মানুষকে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০২২ সালে পঞ্চায়েত অফিস লাগোয়া সরকারি জমিতে ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৫৪ টাকা ব্যয়ে বানানো হয় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। ঠিক তার পরের বছর পরিষেবা প্রদানের জন্য প্রকল্পটি চালু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’বছর আগে চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলেও তা আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। এতে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা পড়ছে না। এখন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে না বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রেট চার্ট না থাকায় জলের জন্য বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বাসিন্দারা। এসব নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামবাসীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় যুবক বাপ্পা রায়, প্রকাশ সরকার বলেন, পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মাঠে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্প গড়া হয়েছে। সেখান থেকে আমরা নিয়মিত জল সংগ্রহ করি। সম্প্রতি আমাদের কাছ থেকে জলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছিল। ফলে আমরা কয়েকজন মিলে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে প্লান্টটি যিনি চালাচ্ছেন তাঁর দেওয়া কাগজপত্র দেখতে চাই। সেখানে গিয়ে দেখি, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ প্লান্ট চালানোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। দু’বছর ধরে নতুন করে চুক্তি করা হয়নি। এরপর আমরা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিসে অভিযোগপত্র জমা করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হল, গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কর্তৃপক্ষ কী করে এটা এখনও চালাতে দিচ্ছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি চুক্তিতে বরাত নেওয়া ব্যবসায়ী নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, যখন আমি প্লান্টটির চুক্তি নিই, তখন সেখানে ২০ বছরের চুক্তি ছিল। প্রতিবছরই পঞ্চায়েত অফিসে এর ভাড়া দিই। কেন এমন অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়ে গেল বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনখুশি সরকার মণ্ডল বলেন, প্রকল্পটির চুক্তি তো আগের বোর্ডের সময়ে হয়েছে। এখন সেটা কী অবস্থায় আছে জানতে হবে। যদি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়ে থাকে তবে পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।