• রাজবাড়ির মনসাপুজোর মেলায় বিপত্তি, ভাঙল ‘ড্রাগন ট্রেন’, জখম শিশু সহ দম্পতি
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রাজবাড়ির মনসামেলায় বড়সড় দুর্ঘটনা। আচমকা নাটবল্টু খুলে গেল চলন্ত ড্রাগন ট্রেনের। ফলে প্রচণ্ড গতিতে ঘুরতে থাকা ওই ট্রেন থেকে সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে পুকুরপাড়ে ছিটকে পড়লেন দম্পতি। তিনজনেরই মারাত্মক চোট লেগেছে। সোমবার রাতের ওই ঘটনার জেরে ভরা মেলায় উত্তেজনা ছড়ায়। মেলার দোকানদাররা ছুটে গিয়ে শিশু সহ ওই দম্পতিকে উদ্ধার করেন। প্রথমে মেলায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁদের। পরে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের একটি নার্সিংহোমে। চিকিৎসার পর রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন জলপাইগুড়ি শহরের সমাজপাড়ার বাসিন্দা ওই দম্পতি। অভিযোগ, কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই ওই রাইড চালানো হচ্ছিল। সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

    এদিকে, ওই দুর্ঘটনার পরই  রাজবাড়ির মনসামেলায় ড্রাগন রাইড বন্ধের নির্দেশ দেয় পুলিস। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইলেকট্রিক নাগরদোলা সহ অন্যান্য রাইডও। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া মেলায় কোনও রাইড চালানো যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিস প্রশাসনের তরফে।

    রাজবাড়ি মেলার দেখভালের দায়িত্বে থাকা শিবু ঘোষাল বলেন, ড্রাগন ট্রেনে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিস প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া মেলায় কোনও রাইড চালানো যাবে না। যাঁরা ওই রাইড এনেছেন, তাঁদেরকে থানায় ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ার এসে প্রতিটি রাইডের সুরক্ষা ব্যবস্থা ও ফিটনেস খতিয়ে দেখেছেন। তিনি সার্টিফিকেট দিলে তা থানায় জমা করা হবে। এরপর পুলিস অনুমতি দিলে তবেই রাইড চলবে।

    এদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রাইডের মালিক ভাস্কর দে বলেন, ড্রাগন ট্রেনের ফিটনেস ঠিকই আছে। এদিন নাটবল্টু খুলে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিস প্রশাসনের নির্দেশ মতো মেলা কমিটি আমাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে বলেছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার এসে সবটা খতিয়ে দেখছেন। প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করেই সমস্ত রাইড চালানো হবে।  

    ড্রাগন ট্রেন ভেঙে পড়ে জখম বিমা সংস্থার এজেন্ট তপন সেনগুপ্ত বলেন, মেয়ে বায়না করছিল বলে তাকে নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ড্রাগন ট্রেনে উঠি। আমরা যে বগিতে ছিলাম, সেটি ভেঙে যায়। আমরা অনেকটা দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ি। মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। 
  • Link to this news (বর্তমান)