• কৃষ্ণ কল্যাণী-অরিন্দম বিবাদ মেটাতে বৈঠক, দু’পক্ষকে নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা: কানাইয়া
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কৃষ্ণ কল্যাণী ও অরিন্দম সরকারের আকচাআকচি তুঙ্গে। প্রথমজন রায়গঞ্জের বিধায়ক। অন্যজন রায়গঞ্জ পুরসভার উপ পুরপ্রশাসক। সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের বিরোধ ঘিরে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল।  এবার সেই বিবাদ মেটাতে আসরে নামছে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শীঘ্রই দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে বলে জানান দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা নেতৃত্বের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    কিছুদিন ধরেই রায়গঞ্জ পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে বিধায়কের অসন্তোষের সূত্রপাত। আবার সামনাসামনি বিধায়কের বিরুদ্ধে পাল্টা মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও বিরক্তি ছিল পুর কর্তৃপক্ষের। কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর জল জমলে সরেজমিনে পরিদর্শনে নামেন বিধায়ক। পুরসভাকে ড্রেন সাফাইয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন। এতেই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপ পুরপ্রশাসক অরিন্দম সরকার। তিনি একেবারে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন বিধায়ককে। তিনি স্পষ্ট বলেন, বিধায়কের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে পুরসভার বিরুদ্ধে বলার। এটা তাঁর শোভা পায় না। অতিবৃষ্টিতে  রায়গঞ্জে সামান্য জল জমলেই বিধায়ক সেখানে গিয়ে নাটক করেন। আগের তুলনায় শহরে জমা জলের সমস্যা কমেছে।

    অরিন্দমের অভিযোগ, বিধায়ক নিজের দায়িত্ব পালন না করে অন্যের দিকে আঙুল তুলছেন। তিনি বিজেপিতে থাকার সময় বলেছিলেন রায়গঞ্জ পুর এলাকায় মাস্টার প্ল্যান করবেন। কিন্তু সেটা পারেননি।

    রায়গঞ্জে বিবাদমান এই দুই তৃণমূল নেতা জেলা কমিটির পদে আছেন। এবার তাঁদের এই বিবাদ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। দলের একাংশের বক্তব্য দু’জন লাগাতার প্রকাশ্যে বিবাদে জড়ানোয় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে মানুষের সামনে। কোনও ব্যাপারে মতানৈক্য তৈরি হলে দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সেটা মেটাতে হবে। নাহলে এই লড়াই সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।

    কানাইয়ালাল বলেন, আমরা সবটাই নজরে রাখছি। শীঘ্রই দুই নেতার সঙ্গে বসব। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত। আশা করি কোনও সমস্যা থাকবে না। দল বড় হয়েছে। কিছু ইস্যুতে মতানৈক্য থাকতেই পারে। প্রত্যেক পরিবারেই থাকে। এটা নিয়ে দলীয়ভাবে আলোচনা করে সমস্যা মিটবে বলেই মনে করি।

    এছাড়া কয়েকদিন আগে শহরে পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে উপ পুরপ্রশাসক, বিধায়কের আকচাআকচি ফের প্রকাশ্যে আসে। ‘বিধায়ক অনুগামীদের’ অভিযোগ ছিল উপ পুরপ্রশাসক বাণিজ্যিক নির্মাণের উদ্দেশ্যে পুকুর ভরাট করছেন। পাল্টা উপ পুরপ্রশাসকের বক্তব্য, রাজনৈতিক কারণেই ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। উল্টে বিধায়ক কৃষ্ণের বিরুদ্ধেই একগুচ্ছ অভিযোগে সরব হন অরিন্দম। বলেন বিধায়ক নানাভাবে আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন। বিধায়ক নিজেই পুকুর ভরাটে সাহায্য করেছেন একাধিক জায়গায়। কৃষ্ণ যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে সেসময় বলেন, উনি এত কথা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানাচ্ছেন না কেন?
  • Link to this news (বর্তমান)