• ভূতনিতে ফুলহারের জলে তলিয়ে নিখোঁজ দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, জল দ্রুত নেমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনিতে ফুলহারের জলে ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল। তবে, এলাকায় জমে থাকা জল অনেকটাই কমে যাওয়ায় আপাতত স্বস্তিতে বাসিন্দারা। পাশাপাশি কমেছে গঙ্গা ও ফুলহারের জলস্তর। লাল সতর্কতা না থাকলেও বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত প্রশাসন।

    ভূতনির দক্ষিণ চণ্ডীপুর সনাতনটোলা ও উত্তর চণ্ডীপুরের রঘুনাথটোলা গ্রামে রবিবার প্লাবিত এলাকায় জলে ডুবে নিখোঁজ হন বিবেক মণ্ডল ও মাহাতাব মণ্ডল। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্স। সোমবার বিকেলে মাহাতাব ও মঙ্গলবার সকালে বিবেকের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মানিকচক থানার পুলিস। পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন।

    অন্যদিকে, ভূতনির বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। জলমগ্ন তিনটি অঞ্চলের অনেকটা অংশে জল নামতে শুরু করেছে। উত্তর চণ্ডীপুরের শঙ্করটোলা, সামিরুদ্দিনটোলা, ভূতনি থানা সহ প্রায় সমস্ত এলাকা থেকে জল নামছে। তবে পুলিনটোলা, গিরিটোলা সহ কিছু নিচু এলাকা এখনও জলমগ্ন। দক্ষিণ চণ্ডীপুরের গণেশটোলা, দুর্গারামটোলা, হরচন্দ্রপুর, ভূতনি  হাসপাতাল থেকেও জল নেমেছে। শুধু ভূতনি ব্রিজ থেকে কাটা বাঁধ পর্যন্ত নৌকা চলাচল করছে। কিন্তু উত্তর চণ্ডীপুরে এখনও বন্ধ নৌকা চলাচল। এবিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ চণ্ডীপুরে বাঁধ ভেঙে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে আতঙ্কিত ছিলাম। মনে হচ্ছিল গত বছরের মতো দীর্ঘদিন জলমগ্ন থাকতে হবে। কিন্তু সব এলাকা থেকে জল দ্রুত নেমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে।

    অন্যদিকে, গঙ্গায় এখন জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। ফুলহার বিপদসীমার কিছুটা উপর দিয়ে বইলেও কমেছে জলস্তর। কেশরপুর বসন্তটোলা, কালুটনটোলা গ্রাম এখনও জলমগ্ন। ভূতনির রিং বাঁধে বাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ত্রিপল, শুকনো খাবার এবং খিচুড়ি দেওয়া হচ্ছে।

    মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী বলেন, পরিস্থিতি হঠাৎ করে খারাপ হয়েছিল। দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোলা রয়েছে ত্রাণ শিবির। দুর্গতদের পর্যাপ্ত ত্রাণ ও খাবার দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সাহায্য করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)