• বেগুন ১১০, ঝিঙে ২০০, পটল ৮০ টাকা! দামের ছ্যাঁকায় পুরুলিয়ায় নাকাল মধ্যবিত্ত
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: বেগুন কেজি ১১০ টাকা, ঝিঙে প্রতি কিলো ২০০টাকা, পটল ৮০! রবিবার ব্যাগ নিয়ে বাজারে ঢুকতেই বিক্রেতার হাঁকতে থাকা এই দামের তালিকা শুনে হোঁচট থেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও সব্জি এক কেজি কিনতেই দামের ছ্যাঁকায় পুড়ছেন পুরুলিয়া শহরের ক্রেতারা। শহরের পাশাপাশি জেলার অন্যান্য প্রান্তের বাজারগুলিতেও একই অবস্থা। টানা বৃষ্টির জেরেই সব্জির দাম এমন আকাশছোঁয়া বলে জানান পুরুলিয়া শহরের সবজি বিক্রেতারা। 

    পুরুলিয়া শহরে সবচেয়ে বেশি ক্রেতা, বিক্রেতার ভিড় থাকে বড় হাটে। রবিবার পুরুলিয়া শহরের ওই হাটে সব্জির দাম শুনে কার্যত হতাশ ক্রেতারা। এদিন বড়হাটে ঝিঙে কিলো প্রতি ২০০ টাকা, বেগুন ১১০ টাকা, ঢ্যাঁড়স৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা বিকিয়েছে। উচ্ছে কিলো প্রতি ৭০ টাকা, টম্যাটো ১০০ টাকা, পালংশাক ৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও মাশরুম প্রতি কিলোগ্রাম ৪৫০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে শুধুখানিক কম দাম রয়েছে পেঁপে এবং কুমড়ার। এই দুই সব্জিই ৩০ টাকা কেজিদামে বিক্রি হয়েছে। 

    রবিবার পুরুলিয়া শহরের বড়হাটে সব্জি কিনতে আসা অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধা বলেন, দীর্ঘদিন বড়হাটে বাজার করি। কিন্তু এত চড়া দাম কখনও হয়নি। ঝিঙেয় হাত দেওয়াযাচ্ছে না। ঝিঙে ওজনের পরিবর্তে আবার প্রতি পিসও বিক্রি হচ্ছে। একটি ঝিঙের দাম ২০ টাকা! একটু বড় হলেই দাম আরও বেশি। সুকুমার মাহাত নামে আর এক ক্রেতা বলেন, কয়েকদিন ধরেই চড়া দাম রয়েছে বাজারে। এক কেজি সব্জি কেনার সাহস দেখাতে পারছি না। দাম জিজ্ঞাসা করলেবিক্রেতারা প্রথমেই আড়াইশো গ্রামের দাম বলছেন। খুব কম লোকই কোনও সব্জি এক কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পুরুলিয়ার বড়হাটেরসব্জি বিক্রেতারা জানান, সব্জির দাম টানা বৃষ্টির জন্যই বেশি হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর সব্জি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। চাষিদের যেটুকু সব্জিকোনওভাবে বেঁচে রয়েছে, তা বেশি দামে না বেচলেচাষিরা মরে যাবেন। বিক্রেতারা আরও জানান,  ক্রেতাদের আড়াইশো গ্রামের দামই বলা হচ্ছে। কারণ এক কিলোগ্রামের দাম বললেই কেউ দাঁড়িয়ে দরাদরিও করছেন না। বাজারে সব্জির দাম আরও কয়েকদিন এমনই আগুন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত বিক্রেতাদের। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)