সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া-বর্ধমান শাখায় আরও একজোড়া নতুন লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে। পূর্ব রেল বিজ্ঞপ্তি দিতেই খুশি যাত্রীরা। কাটোয়া থেকে বর্ধমান সকাল ৯টার পর বিকেল ৪টেয় ট্রেন ছিল। মাঝে সাত ঘণ্টা বর্ধমান যাওয়ার কোনও ট্রেন ছিল না। বাধ্য হয়ে বাসে বর্ধমানে যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন যাত্রীরা। ব্যাপক ভিড়ে সমস্যায় পড়তে হতো যাত্রীদের। এমনকী, বাসে পা রাখার মতো জায়গা থাকত না। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে রেলের এই পদক্ষেপে খুশি পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষজন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন লোকাল ট্রেনটি কাটোয়া থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে। বিকেল ৩টে ১০মিনিটে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছবে। বর্ধমান থেকে বিকেল ৪টেতে কাটোয়ার উদ্দেশে রওনা দেবে। বিকেল ৫টা ২০মিনিটে কাটোয়া পৌঁছবে। ট্রেনটি সব স্টেশনেই দাঁড়াবে। কাটোয়ার স্টেশন ম্যানেজার সুপ্রভাত ভট্টাচার্য বলেন, কাটোয়া-বর্ধমান শাখায় নতুন একজোড়া ট্রেন চালু হবে। ২২ বা ২৩ আগস্ট থেকে সেটি চালু হওয়ার কথা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪সালে বর্ধমান থেকে বলগনা ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। পরের বছর থেকে বলগোনা-কাটোয়া পর্যন্ত ২৬.২২ কিমি রেলপথের গেজ পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালে বর্ধমান থেকে শ্রীখণ্ড পর্যন্ত এক জোড়া ইএমইউ রেক চালু হয়। বাকি ছিল কাটোয়া পর্যন্ত সাত কিলোমিটার অংশে ট্রেন চালানোর কিছু কাজ। সেই কাজও শেষে ২০১৮সালে কাটোয়া-বর্ধমান শাখায় মোট ছ’জোড়া ট্রেন চালু হয়। এনিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এই লাইনে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। চিকিৎসা, অফিস-আদালতে কিংবা ব্যবসার কাজে অনেকে কাটোয়া থেকে বর্ধমান যান। সঠিক সময়ে ট্রেন না পেয়ে বাসের উপরই ভরসা করতে হয়। কাটোয়া থেকে সকাল ৮টা ৫০মিনিটের পর বিকেল ৪টে ১০মিনিট নাগাদ একটি ট্রেন ছাড়ে। আর বর্ধমান থেকে সকাল ৯টা ৩৫মিনিটের পর আবার দুপুর ২টো ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে ট্রেন ছাড়ে। মাঝে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন ছিল না। অথচ যাত্রীদের ব্যাপক চাপ থাকে। তাতে হয়রানি বাড়ছিল। ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন যাত্রীরা। নিত্যযাত্রী নিতাই প্রামাণিক, সুবল হাজরা বলেন, আমরা ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে ডিআরএমকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু রেল আমাদের কোনও কথায় কর্ণপাত করেনি। আমাদের দাবিকে রেল মান্যতা দিয়েছে। এতে আমরা খুশি। অন্তত দুপুরে কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়ার ট্রেন পাওয়া যাবে। আবার বর্ধমানে অফিস সেরে বিকেল ৪টেতে ট্রেন ধরা যাবে। তবে এই শাখায় আরও ট্রেন বাড়ানো দরকার। কাটোয়ার খেলোয়াড় শুভজিৎ দাস বলেন, আমরা বর্ধমানে ভলিবল খেলতে যাই। দুপুরে আমাদের যেতে হয়। ওই সময় ট্রেন পাওয়া গেলে খুব ভালো হয়।