• নবদ্বীপের মহীশুড়ায় শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের পরিকাঠামো বেহাল, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা
    বর্তমান | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে মোট চারটি শ্রেণিকক্ষ। উপরে দু’টি। নীচে দু’টি। উপরের দু’টি এখনও অসম্পূর্ণ। ফলে নীচের দু’টিতেই শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ পর্যন্ত গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় খুদেদের। মাত্র দু’জন শিক্ষিকা পড়ান। কিন্তু ২৪ আগস্ট একজন অবসর নেবেন। তখন ওই একজন শিক্ষিকাকেই গোটা স্কুল চালাতে হবে। এমনই হাজারো সমস্যায় জর্জরিত মহীশুড়া মাঝেরপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। এই শিক্ষাকেন্দ্রে এখন ৬২ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে বলে জানালেন শিক্ষিকা সাবিনা বিবি।

    মহীশুড়ার এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্র সব দিকেই বেহাল। যাতায়াতের জন্য প্রায় ১০০ মিটার রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তার সমস্যার বিষয়ে বারবার স্কুলের তরফে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরকে জানানো হলেও সমস্যা মেটেনি।

    নবদ্বীপের মহীশুড়া পঞ্চায়েতে ২০০৩ সালে দু’টি ঘরে নিয়ে মাঝেরপাড়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। ২০১৫ সালে এই কেন্দ্রের দোতলা ভবনের একতলায় দু’টি ও দোতলায় দু’টি মিলিয়ে মোট চারটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ হয়। কিন্তু তখন থেকেই এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াতের কোনও নিজস্ব রাস্তা নেই। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা অন্যের জমির আলপথ। এই স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই।

    এই কেন্দ্রে মাঝেরপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মাঠপাড়ার খুদে ছেলে, মেয়েরা পড়াশোনা করে। মহীশুড়া মাঠপাড়ার বাসিন্দা সাহিন শেখ বলেন, আমার ছেলে সরফরাজ শেখ এই স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। অন্যের জমির আলপথ দিয়ে স্কুলে ঢুকতে হয়। যাঁদের জায়গা তাঁরা ওই রাস্তা দিয়ে যেতে দিতে চায় না ছাত্রছাত্রীদের। ফলে স্কুলে ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা সাবিনা বিবি জানান, ২০০৯ সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি। গ্রামের মূল রাস্তা থেকে অনেক ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকার  পড়ুয়ারা এখানে পড়াশোনা করে। স্কুলে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় অত্যাধিক গরমে বারান্দায় ক্লাস করাতে হয়। ২৪ আগস্ট একজন শিক্ষিকা অবসর নেবেন। আমি ছাড়া দ্বিতীয় কোনও শিক্ষিকা থাকছেন না। সমস্যার বিষয়গুলি লিখিতভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। রাস্তার বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিওকে জানানো হয়েছে। বিডিও বলেছেন, রাস্তা করার জায়গা দিলে আমরা করে দিচ্ছি। মহীশুড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আকমল সরদার বলেন, এর আগে দু’বার রাস্তার জন্য টাকা এসে ফেরত চলে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা জায়গা দিলে তবেই রাস্তা হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)