• হদিশ মেলেনি ভোটারের, করা যায়নি ২৪ হাজার এপিক
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র বা এপিক তৈরি হয়ে বাড়িতে স্পিড পোস্টে পাঠানোও হয়েছিল। কিন্তু ভোটারের খোঁজ মেলেনি। পাওয়া যায়নি তাঁর পরিজনকেও। ভোটারের খোঁজ না পেয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের এমন ২৪৩৮৬টি ‘এপিক’ পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর।

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালকে দেওয়া এক রিপোর্টে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা এই তথ্য জানিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি এপিক পড়ে রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রের। প্রশ্ন উঠেছে, এঁরা কি সব ভুতুড়ে ভোটার?

    সিইও জানিয়েছেন, ডাক বিভাগ এ বার থেকে ভোটারের বাড়িতে এপিক পৌঁছনোর সময়ে ছবি–সহ ডিজিটাল এভিডেন্স রাখবে। যাতে পরিষ্কার হয়, কার হাতে এপিক ডেলিভারি করা হলো। ডাক বিভাগ এই তথ্য ছ’মাস সংরক্ষণ করবে। তার পরে সিইও অফিসে ওই ডিজিটাল এভিডেন্স সংরক্ষণ করা হবে। যাতে কেউ এপিক পাননি বলে কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে সঠিক প্রমাণ পেশ করা যায়।

    ভোটাররা সব সময়ে বাড়িতে থাকেন না। তাঁর পরিবর্তে পরিবারের কেউ পিওনের কাছ থেকে এপিক সংগ্রহ করতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তি বাড়ি না থাকলে পর পর তিন দিন ডাক বিভাগ থেকে ডেলিভারি দিতে যাওয়া হয়।

    তার পরেও দেখা না মিললে বাড়িতে জানিয়ে আসা হয়, সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে হবে। তার পরেও অনেকে এপিক সংগ্রহ করেন না। তখন তা ইআরও অফিসে জমা পড়ে।

    জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৯৮১টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৮৭৯টি, হুগলিতে ২৩১২টি, হাওড়ায় ১৫৩৭টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০৮৭টি, পশ্চিম বর্ধমানে ১২৯৭টি, দক্ষিণ কলকাতায় ৫০৩টি, উত্তর কলকাতায় ৮১৯টি, নদিয়ায় ৬৭৩টি এপিক পড়ে রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)