• ‘সার’ ছাড়া ভোট নয়, সুর চড়াবে বঙ্গ-বিজেপি
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়: ‘নো সার, নো ভোট’— ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন (সার) ছাড়া যেন কোনও ভাবেই বাংলায় ভোট না–হয়, এই বার্তা খোদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও তুলে ধরতে চাইছে বঙ্গ–বিজেপি।

    আগামী শুক্রবার একদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে ‘নো সার, নো ভোট’ প্রচারের ঝড় তুলে এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চাইছেন, বাংলায় সার–এর দাবি কতটা জোরা‍লো। যাতে শুক্রবার দমদমের রাজনৈতিক সভা থেকে মোদীও ভোটার তালিকায় ঝাড়াইবাছাই নিয়ে তৃণমূলকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে ভুলে না–যান।

    বাংলায় কবে ‘সার’ চালু হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাতে থেমে নেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আকচাআকচি। বিহারের মতো বাংলার ভোটার তালিকা থেকেও লাখ লাখ নাম বাদ গেলে তৃণমূল যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

    নির্বাচন কমিশনের উপরে চাপ বাড়াতে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে, ভোটার তালিকা থেকে এক জনের নামও বাদ গেলে এক লাখ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। শুধু এ রাজ্যেই নয়, দিল্লিতেও সার ইস্যুতে সরব তৃণমূল–সহ ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্য দলগুলি।

    বিরোধীদের চাপের মুখে নির্বাচন কমিশন যাতে কোনও ভাবেই নতিস্বীকার না–করে, তাই কমিশনের উপরে পা‍ল্টা চাপের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। দলীয় স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘নো সার, নো ভোট’— এই স্লোগান তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার শুরু হবে। পাশাপাশি, সব জেলাতেই ‘নো সার, নো ভোট’–এর দাবিতে পথসভা এবং অবস্থান বিক্ষোভের কৌশলও নিয়েছে পদ্ম–ব্রিগেড।

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যে বিভিন্ন জনসভা থেকে আওয়াজ তুলে বলতে শুরু করেছেন, ‘নো সার, নো ভোট। মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকায় থাকা চলবে না।’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও একই সুরে বলছেন, ‘তৃণমূ‍লের এখন একটাই দাবি, মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। মৃতদের দিয়েও ভোট দেওয়াতে চাইছে ওরা।

    তৃণমূল নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, মানবিক জায়গা থেকে তাঁরা মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকায় রাখতে চাইছেন। কারণ, যাঁরা মারা গিয়েছে‍ন, তাঁরাও তো কারও বাবা, কারও প্রেমিকা, কারও মাসিমা ছিলেন। বাংলার মানুষ এ সব থেকে পরিত্রাণ চাইছে। তাই সার অনিবার্য হয়ে উঠেছে।’

    পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূল বলছে, ‘সার’–এর নামে ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে না–পারলে বিজেপির ভরাডুবি অনিবার্য। সেটা বুঝেই গেরুয়া নেতারা ‘নো সার, নো ভোট’ স্লোগান তুলছেন।

    তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, ‘বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হতে চলেছে। গোটা ভারতেই নির্বাচন কমিশন চুরি করে বিজেপিকে জেতাতে চাইছে। কারণ, ওরা জানে ভোট চুরি না–করলে এ রাজ্যে বিজেপি প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও হারাবে। তাই শুভেন্দুরা বলছেন, নো সার, নো ভোট। বিজেপির এই স্লোগান থেকেই স্পষ্ট, নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা।’

  • Link to this news (এই সময়)