সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ, বুধবার লোকসভায় সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগেই সেই বিলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ জুড়ে একাধিক ইস্যু থাকা সত্ত্বেও কেন এই বিল পেশ করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। দাবি করলেন, এই বিল পেশ করে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।
এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিষেক উল্লেখ করেছেন, ‘বিরোধীদের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীর চাইতে পারছে না বিজেপি সরকার।’ শুধু তাই নয়, সীমান্ত সুরক্ষার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সূত্রের খবর, বুধবার লোকসভায় বিল পেশ করবেন অমিত শাহ। সেই বিলে বলা হয়েছে, গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হলে, টানা ৩০ দিন বন্দিও থাকলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে যেতে হবে। এটি হবে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল। বিলে এই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে যে, বহিষ্কৃত মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন। আর এরপরেই সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার বদলে কেন্দ্রের সরকার শুধুই ক্ষমতা আর সম্পদে আগ্রহী। আমরা এই কঠোর সংবিধান সংশোধনী বিলে আপত্তি জানাচ্ছি। কৃষক কিংবা দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ না করে সরকার সরকার এই বিল আনছে।’ সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি, এসআইআর বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে অপব্যবহারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর জন্য ইডি-কে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিল পেশ করে রাজ্যের সরকারগুলিকে ফেলে দেওয়া ও গণতন্ত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
বিজেপি সরকারকে কৃষক-বিরোধী ও জন-বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, বিজেপিকে একটা ভোট দেওয়ার অর্থ দেশকে বিক্রি করে দেওয়া। তাঁর মতে, বিজেপি দেশের সংবিধানকে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এই ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্রও সোশাল মিডিয়ায় গর্জে উঠেছেন।