• শুভেন্দুর নজর যখন ভবানীপুরে তখন অভিষেক পৃথক গুরুত্ব দিচ্ছেন নন্দীগ্রামকে, বিরোধী দলনেতার কেন্দ্র নিয়ে করবেন আলাদা বৈঠকও
    আনন্দবাজার | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চিরাচরিত স্বভাববশত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি ‘বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা’ নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে বহু জনের নাম বাদ পড়বে। চ্যালেঞ্জের ভঙ্গিমায় এও জানিয়েছিলেন, তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত। সেই কেন্দ্র ভবানীপুরও হতে পারে। বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা এলাকা ভবানীপুরে সমীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন শুভেন্দু। ঠিক এই সময়েই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতার কেন্দ্র নন্দীগ্রামে।

    বিজেপি সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে কোথায় কত ভোটার, কোন বুথে কোন দল লিড—এই সব একাধিক তথ্য জানতে সমীক্ষা করাবেন শুভেন্দু। এমনকি, ভাবনীপুরে তিনি আলাদা কার্যালয় খুলতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সূত্রে খবর, শুভেন্দুর কেন্দ্রে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন অভিষেক। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দলের একাধিক সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অভিষেক। মঙ্গলবার তিনি বৈঠকে বসেছিলেন বারাসত—তমলুক জেলার নেতৃত্বদের সঙ্গে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও। দল সূত্রে খবর, সেখানে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উঠলে অভিষেক জানান, ওই কেন্দ্র নিয়ে তিনি আলাদা করে বৈঠক করবেন। দল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিষেকের ‘বিশেষ নজরে’ থাকা ওই কেন্দ্রের বুথ সভাপতি, স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে দলের শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীরাও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। সেই ‘বিশেষ’ বৈঠক কবে হবে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এটুকু পরিষ্কার ভোট সমরে অভিষেকের সেনাপতিত্বে দলের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পাবে এই কেন্দ্র।

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মমতা ও শুভেন্দু। ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু। যদিও ‘প্রকৃত জয়ী কে?’— এই নিয়ে বিতর্ক জারি আছে। মামলা ঝুলে রয়েছে আদালতেও। সেই ‘ফল’ নিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তৃণমূল বলে, ‘লোডশেডিং বিরোধী দলনেতা’। পাল্টা বিজেপি কটাক্ষ করে বলে ‘কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী’। এক বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুযুধান দুই শিবিরের দুই নেতার নজরে দুটি কেন্দ্র—ভবানীপুর ও নন্দীগ্রাম। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ভবানীপুর। অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতার কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। আপাতত দেখার নন্দীগ্রামে কবে বৈঠক করেন অভিষেক। দলের নেতাকর্মীদের কোন রণকৌশল দেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)