যাদবপুরের ৫ পড়ুয়াকে কার্শিয়াং ছাড়তে নিষেধ! হাওড়ার সপ্তনীলের পাহাড় ভ্রমণের কথা জানত না পরিবার
আনন্দবাজার | ২০ আগস্ট ২০২৫
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সপ্তনীল চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশও। ইতিমধ্যে হাওড়ার ছাত্রের পরিবার ‘পূর্ণাঙ্গ তদন্ত’ চেয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। সপ্তনীলের পাঁচ ভ্রমণসঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশের অনুমতি ছাড়া তাঁদের কার্শিয়াং ছাড়া এখন বারণ।
সোমবার ভোরে কার্শিয়াঙের ডাওহিলের একটি হোমস্টের ছাদ থেকে ‘পড়ে’ মৃত্যু হয় ২৩ বছরের সপ্তনীলের। ওই যুবক হাওড়ার দেউলটির বাসিন্দা। কলকাতার একটি কলেজে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। দিন চারেক আগে তিন বন্ধু এবং দুই বান্ধবীর সঙ্গে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই পাঁচ জন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’জনের মধ্যে এক জনের বাড়ি জলপাইগুড়িতে। প্রথমে সকলে জলপাইগুড়িতে যান। সেখানে এক দিন কাটিয়ে তিন দিন আগে কার্শিয়াং বেড়াতে গিয়েছিলেন। উঠেছিলেন ডাওহিলের একটি হোমস্টেতে। গত সোমবার সকালে হোমস্টের বাইরে সপ্তনীলকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হোমস্টে কর্তৃপক্ষ এবং সপ্তনীলের বন্ধুরা মিলে তাঁকে উদ্ধার করে কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন আগেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ছাত্রের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, সপ্তনীল যে বেড়াতে আসছেন, বাড়ির কেউ তা জানতেন না। পরে তাঁরা জেনেছিলেন। সোমবার সকালে তাঁর মৃত্যুসংবাদ যায় বাড়িতে।
হাওড়ার যুবক ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন না কি নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছেও। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাননি তদন্তকারীরা। গত ২৪ ঘণ্টায় সপ্তনীলের বন্ধুদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসবাদ করছে কার্শিয়াং পুলিশ। নথিভুক্ত করা হচ্ছে তাঁদের বয়ান৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শৈলশহর ছাড়তে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। সপ্তনীলের বাবা ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কী করে কী হল, কিছুই বুঝতে পারছি না৷ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ সঠিক তদন্ত হোক।’’ ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘পুলিশের কাছ থেকে রিকুইজিশন পেয়ে ময়নাতদন্তে উপস্থিত হয়েছিলাম৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বেরোলে বোঝা যাবে আসল ঘটনা।’’