যথাযথ জায়গায় থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি রেকর্ড করায় জোর পুলিশের
আনন্দবাজার | ২০ আগস্ট ২০২৫
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সময়ে পুলিশের ক্যামেরায় যাতে যথাযথ জায়গা থেকে ঘটনার রেকর্ডিং করা হয়, তার উপরে জোর দিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। একই সঙ্গে মূল বিষয়টি যাতে ক্যামেরায় ধরা পড়ে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে শীর্ষ কর্তাদের তরফে।
সূত্রের খবর, গত ৯ অগস্ট নবান্ন অভিযানের দিন জওহরলাল নেহরু রোড এবং কিড স্ট্রিটের মোড়ে গোলমাল বাধে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। তাতে জখম হন আর জি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার মা। তাঁর কপালে আঘাত লাগে। নির্যাতিতার মা এবং বাবার অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে ওই আঘাত হয়েছে। লালবাজারের কর্তারা অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পুলিশের লাঠির আঘাতে ওই ঘটনা ঘটেনি। এমনকি, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের ক্যামেরা কিংবা সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় কিছুই ধরা পড়েনি। উল্লেখ্য, কোনও সমাবেশ, মিছিল কিংবা বিক্ষোভের কর্মসূচিতে পুলিশের সায়েন্টিফিক উইংয়ের তরফে ক্যামেরাম্যান নিয়োগ করা হয়ে থাকে। ওই ঘটনার দিনও তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, যথাযথ জায়গায় না থাকায় সেদিনের ওই নির্দিষ্ট ঘটনার ছবি তাঁদের ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। এর ফলে তদন্ত বাধা পাচ্ছে বলে পুলিশের একাংশ স্বীকার করে নিয়েছেন। বর্তমানে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশি মারধরের যে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে, তার তদন্তও শেষ হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা উদ্বিগ্ন বলে সূত্রের খবর।
লালবাজারের এক কর্তার দাবি, ক্যামেরা যথাযথ জায়গায় থাকলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠত না। ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বোঝা যেত, ঠিক কী হয়েছে। আগামী দিনে বিষয়টি যাতে চিত্রগ্রাহক মেনে চলেন, তার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে চিত্রগ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কী ঘটছে, তা জানার জন্য চিত্রগ্রাহক পাঠানো হয় লালবাজারের তরফে। এমনকি, সরাসরি লালবাজার থেকে লাইভ ছবি দেখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ব্যবস্থা যাতে আরও উন্নত করা যায় এবং যথাযথ জায়গায় পৌঁছে ছবি তোলা যায়, তার জন্যই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। এমনকি, প্রতিটি ঘটনায় যাতে পুলিশকর্মীরা বডি ক্যামেরা ব্যবহার করেন, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার জন্য বাহিনীর সদস্যদের বলা হয়েছে।