• বৌকে খুন করে দিদিকে প্রণাম, অশোক বলল, ‘আমি আসছি…’, কোন্নগরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • স্ত্রীকে খুন করে দিদিকে প্রণাম, বোনকে ফোন।অন্তত অভিযোগ এমনই। এর পরেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ব্যক্তির। কোন্নগরের মাস্টারপাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন কর্মী অশোক চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী সবিতা চট্টোপাধ্যায়কে (৫৮) খুন করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    বুধবার সকালে হঠাৎই পাশের বাড়িতে থাকা দিদি চন্দনা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যান অশোক। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তাঁর। চোখ তখন ছলছল। দিদি জানতে চান, ‘কী হয়েছে?’ অশোক জানান, ‘দু’দিন পরে আসব।’ চন্দনা সবিতার খোঁজ করলে, অশোক জানান, ‘আসছে...’। তারপরেই ‘আমি আসছি’ বলে বেরিয়ে পড়েন।

    পাশেই থাকেন অশোকের তুতো ভাইয়ের পরিবার। তাঁরা জানান, এর পরেই মাঝ রাস্তা থেকে ত্রিবেণীতে থাকা এক বোনকে ফোন করেন অশোক। জানান, সবিতাকে তিনি খুন করেছেন। খবর ছড়াতেই হইচই পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। এসে দেখেন, ঘরের দরজায় তালা ঝোলানো। স্ত্রীর দেহ বাড়িতে রেখে দরজায় তালা দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী।

    পুলিশ এসে দেখে সবিতার গলায় ওড়না জড়ানো। বিছানায় পড়ে আছে দেহ। পুলিশ তা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অশোকের পরিবারের লোকজনের দাবি, প্রায়ই সবিতার সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হতো। এক সময়ে কোন্নগর পুরসভায় একটি বিভাগে কাজ করতেন তিনি। পরে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি পরিবারের।

    এই নিয়ে মানসিক অবসাদ কাজ করত অশোকের। আর তা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হতো বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার রাতেও তুমুল অশান্তি হয় স্বামী, স্ত্রীর। এর পরেই এই ঘটনা। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ দরজার তালা ভেঙে সবিতা চট্টোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার করে।

    চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস জানান, অভিযুক্ত নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন। জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিল। এর পরেই গলা টিপে ধরেন।

  • Link to this news (এই সময়)