• ‘সরকারি কোষাগারের টাকা এ ভাবে পুজোর নামে দান করা যায় না’, হাই কোর্টে সওয়াল মামলাকারীর আইনজীবীর
    এই সময় | ২০ আগস্ট ২০২৫
  • সরকারি কোষাগারের টাকা এ ভাবে পুজোর নামে দান করা যায় না, পুজোয় ক্লাবগুলিকে রাজ্যের অনুদান সংক্রান্ত মামলায় দাবি করলেন মামলাকারীর আইনজীবী। তিনি জানান, বছর বছর পুজোয় সরকারি অনুদানের পরিমাণ বাড়ছে। অথচ সরকার অন্যান্য জরুরি ক্ষেত্রে প্রাপ্য মেটাতে পারছে না।

    দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। সেই অনুদান নিয়ে প্রতি বছরই মামলা হয় হাই কোর্টে। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। বুধবার তেমনই এক মামলার শুনানিতে, মামলাকারীর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, সরকার অন্যান্য জরুরি ক্ষেত্রে প্রাপ্য টাকা মেটাতে পারছে না, অথচ পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা কী ভাবে দিতে পারছে? বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ওই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী।

    একই সঙ্গে ওই আইনজীবী জানান, হাই কোর্ট আগের এক রায়ে জানিয়েছিল, পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অনুদানের টাকা যথাযথ খাতে খরচ হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘বাস্তবে অনুদান বাবদ টাকা দেওয়া হলেও তার কোনও হিসেব কার্যত রাখা হয় না। উল্টে প্রতি বছর অনুদানের পরিমাণ বাড়ছে।’ যদিও অনুদান মামলায় রাজ্যের দাবি, ‘প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে এই একই ইস্যুতে একটা করে মামলা করা হয়। আর পুজো মিটলে মামলাকারীদের আর জনগণের কথা মনে থাকে না।’

    এ বছর দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। সঙ্গে বিদ্যুতের বিলে ৮০ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়াও ফায়ার লাইসেন্স-সহ একাধিক অনুমতির ক্ষেত্রে সরকারি ফি মকুব করা হয়েছে।

    ২৫ হাজার টাকা দিয়ে রাজ্য সরকার পুজোর অনুদান দেওয়া শুরু করেছিল। এর পরে যথাক্রমে ৭০ হাজার, ৮৫ হাজার ও ১ লক্ষ ১০ হাজার করা হয়। সরকারি কোষাগার থেকে কয়েকশো কোটি থাকা খরচ হয় এই অনুদানের জন্য। এই বিষয়কে সামনে রেখেই মামলা। আগামী সোমবার ফের মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • Link to this news (এই সময়)