মানব পাচার রোধে গ্রামের মেয়ে-বউরাই তুরুপের তাস! বিশেষ পাঠ মহিলা কমিশনের
প্রতিদিন | ২০ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দ রায়: কখনও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। আবার কখনও শিশু, নারী ও মানব পাচার। সীমান্ত এলাকায় একেবারে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সেই সঙ্গে বাল্যবিবাহের মতো ঘটনাও অহরহ ঘটে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রেই তা সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠে। আর এক্ষেত্রে মুশকিল আসান হচ্ছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। সচেতনতার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী শিশু ও নারীদের কল্যাণে সরাসরি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা।
মানুষ যাতে দ্রুত সুবিধা পেতে পারেন, সেজন্য চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্প-লাইন নম্বর। যার মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ জানানো যাবে। বসিরহাটের সীমান্তবর্তী বসিরহাট ১ নং ব্লকের ইটিণ্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হলে সম্প্রতি একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। মানব পাচার সহ বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিশু ও নারী কল্যাণের সচেতনতা মূলক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, কমিশন সদস্য চৈতালি লাহিড়ী, ইটিণ্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেহেরুন্নেসা বিবি, উপপ্রধান চিন্ময় সরকার ও বসিরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সরিফুল মণ্ডল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে বাল্য বিবাহ এবং শিশু ও নারী পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা মূলক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ একটি কর্মশালার আয়োজনও করা হয়। এরপর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের উত্তরপাড়ার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধির সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে মত বিনিময়ের পাশাপাশি পাচার বিরোধী বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়। বারবার সীমান্ত পাচার নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। বাল্য বিবাহ ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে গ্রামের মেয়ে-বউদের শেখানো হয় নানান কৌশল।
সেই সঙ্গে বিশেষ হেল্প-লাইন নম্বর ও মেইল আইডি গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। নম্বরগুলি হল- ০৩৩২৩২১০১৫৪, ০৩৩২৩৩৪৫৩২৪ ও ০৩৩২৩২১৮৬০৮। সঙ্গে [email