নারায়ণ সিংহ রায়: কার্শিয়ংয়ের হোম স্টে-তে পড়ুয়া সপ্তনীল চ্যাটার্জির মৃ্ত্যুর কিনারা করতে অডিয়ো ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বাকি পাঁচ পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসবাদ চলছে ৷ দফায় দফায় তাদের জিজ্ঞাসবাদ করছে কার্শিয়াং পুলিস। একে অপরের বয়ানের সঙ্গে বাকিদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ অন্যদিকে যে হোম স্টে-তে তারা ছিলেন সেখানে বুধবার ফরেন্সিকের দলের গিয়ে উপস্থিত। হোম স্টে-র আনাকানাচে খতিয়ে দেখছেন তারা ৷
বছর ২৩ এর যুবক স্বপ্তনীল চ্যাটার্জির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য৷ ইতিমধ্যেই বাকি পড়ুয়াদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসবাদ করছে কার্শিয়াং পুলিস। নথিভুক্ত করা হচ্ছে তাদের বয়ান ৷ পুলিস সূত্রে খবর, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাকি পড়ুয়াদের শৈল শহর ছাড়ার কোনও অমুমতি নেই। এদিকে হাওড়া থেকে এসে উপস্থিত হয়েছে স্বপ্তনীলের পরিবার। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চলছে ময়নাতদন্ত।
তবে পরিবার সূত্রে খবর, স্বপ্তনীলের ভ্রমণের কথা জানতই না তার পরিবার ৷ সোমবার ভোরে এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পান তার পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে ৷ স্বপ্তনীলের বাবা ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি জানান, "কি করে কি হল কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷" ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "পুলিসের কাছ থেকে রিক্যুইজিশন পেয়েই ময়নাতদন্তে উপস্থিত হওয়া ৷ ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে আসল ঘটনা কি।"
প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে ৪ বান্ধবী ও ২ বন্ধু মিলে বেড়াতে বেরিয়েছিল। মৃত সপ্তনীল চ্যাটার্জি কলকাতার হেরিটেজ কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়া ছিলেন। কিন্তু বাকি বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই যাদবপুরের পড়ুয়া। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৬ বন্ধু-বান্ধবীদের মধ্যে একজনের বাড়ি জলপাইগুড়িতেই। ৬ বন্ধু-বান্ধবী প্রথমে জলপাইগুড়িতে সেই বন্ধুর বাড়িতেই উঠেছিল। সেখানে একদিন কাটিয়ে, তারপর সেখান থেকে কার্শিয়ংয়ে পৌঁছয়। ডাউহিলের হোম স্টে-তে ওঠে সবাই মিলে। সোমবার ছিল ফেরার কথা।