জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'SIR থেকে নজর ঘোরানোর জন্য় মরিয়া, নির্লজ্জ প্রচেষ্টা'। কেন্দ্রের বিলের বিরোধিতায় এবার আসরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, '২৪০ সাংসদ নিয়ে যদি সংবিধান পাল্টানোর কথা ভাবে, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠা থাকলে কী করত! দেশটাকে পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করত। দেশটাকে পৈতৃক সম্পত্তিতে পরিণত করত'।
অভিষেক বলেন, 'লোকসভায় কাপুরুষের মতো বিল আনা হয়েছে। কোনও মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, তাঁকে যদি কোনও তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে ৩০ দিন হেফাজতে রাখে, তাহলে ৩১ তম দিনে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব অথবা মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আমি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকু পাব না। তাহলে ভারতবর্ষের কোর্টের কোনও দরকার নেই। কার্যত বিচারব্যবস্থা বুড়ো আঙুল দেখানো'।
অভিষেকের সাফ কথা, 'বিজেপি অনেক কথা বলবে। বিরোধীরা ভীত সন্ত্রস্ত! তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেলে বাড়িতে বসে থাকত। মাঠে ঘাটে লড়াই করছে। আমার তোয়াক্কা করি না, ইডি-সিবিআই বা নির্বাচন কমিশনের। আমরা মানুষের দাবি নিয়ে লড়তে জানি'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'এই বিল পাশ করতে পারবে না। এটা একটা গিমিক। ২৯ সাংসদ নিয়ে অমিত শাহকে ফোর্থ রো'তে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভাবুন ৪০ সাংসদ থাকলে কি হত। এটাই বাংলার ক্ষমতা'।
অভিষেকের আরও বক্তব্য, 'এই সরকার মানুষের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত নয়। দৈনন্দিন জীবনে মূল্য়বৃদ্ধি আকাশছোঁয়া। জিনিসপত্রের দাম, এই নিয়ে চিন্তিত নয়। কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে কোনও আগ্রহ নেই। শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় আগ্রহ নেই। কর্মসংস্থানে আগ্রহ নেই। সীমান্ত রক্ষা করা যায়, সন্ত্রাসবাদী হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, ভারতের সার্বভৌমত্ব কীভাবে রক্ষা করা যায়, কোনও আগ্রহ নেই। সরকারের আগ্রহ হচ্ছে ক্ষমতা, অর্থ আর নিয়ন্ত্রণ। ২-৬৩ সিটে হেরে গিয়েছে। ৩০৩ থেকে ২৪০-এ নামার পরেও কী করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখবে, সকাল থেকে রাত অবধি এটাই চিন্তা'।