• কৌশিকী অমাবস্যা আসতেই তারাপীঠের হোটেল ভাড়া একলাফে বাড়ল প্রায় পাঁচ গুণ! তার পরেও রুম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
    এই সময় | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • কৌশিকী অমাবস্যা মানেই তারাপীঠে পুণ্যার্থীদের ঢল। এখনও অমাবস্যার আসতে দু’দিন বাকি। তার আগেই তারাপীঠে এক লাফে হোটেলের ভাড়া বাড়ল প্রায় পাঁচ গুণ। তবে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও যে কৌশিকী অমাবস্যার সময়ে তারাপীঠের হোটেলগুলিতে ঘর পাওয়া যাবে, তা নিশ্চিত ভাবে বলার উপায় নেই।

    তারাপীঠের হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, ইতিমধ্যেই সেখানকার সিংহভাগ হোটেলে প্রায় সব রুমই ‘বুক’ হয়ে গিয়েছে। প্রায় একই অবস্থা রামপুরহাট-সহ তারাপীঠের আশপাশের এলাকার হোটেলগুলিরও।

    পঞ্জিকা এবং তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইতদের মতে, চলতি বছর কৌশিকী অমাবস্যা শুরু হবে শুক্রবার, চলবে শনিবার পর্যন্ত। চলতি বছরে সপ্তাহান্তে কৌশিকী অমাবস্যা পড়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও বেশি ভক্ত এবং পর্যটক সমাগম হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা, রুটম্যাপ এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে তারাপীঠের হোটেল মালিক সমিতি ও মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে ভক্তদের তিন দিনের প্যাকেজ নিতে বাধ্য করা বা অত্যধিক ভাড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    তার পরে প্যাকেজ নিতে বাধ্য না করা হলেও পর্যটকদের অতিরিক্ত মূল্যে ঘর ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠছে হোটেলগুলির বিরুদ্ধে। পর্যটকদের দাবি, বছরের অন্য সময়ে যে ঘরের ভাড়া থাকে ১৫০০-২০০০ টাকা, কৌশিকী অমাবস্যার সময়ে তারই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রায় ১০,০০০ টাকা। ৬০০ টাকা দামের ঘরের জন্য দিতে হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা।

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ হোটেলগুলি। তারাপীঠের হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরির দাবি, বছরের অন্য সময়ে পর্যটক টানতে হোটেলগুলি ঘর ভাড়ায় কিছুটা ছাড় দিয়ে থাকে। কৌশিকী অমাবস্যার সময়ে সেই ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যটকরা।

    রামপুরহাটের মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে বলেছেন, ‘প্যাকেজ নিতে বাধ্য না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হোটেলগুলিকে। যদি এই রকম কিছু ঘটে থাকে, তা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

    তথ্যঃ ঋতভাষ চট্টোপাধ্যায়

  • Link to this news (এই সময়)