• পলিক্লিনিকে দেহ: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শহরের একটি পলিক্লিনিকে কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করল পুলিস। ফুটেজে ইতিমধ্যেই বেশকিছু সূত্র মিলেছে। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিস তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ। এখন ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে মৃত রাহুল ঝা’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এখনও পুলিসের হাতে আসেনি। মোবাইল ফোনটি মিললে তদন্তের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যেত বলে মনে করছেন পুলিস আধিকারিকরা। এদিকে, দিন কয়েক আগে রাহুল ঝা (২৮) নামে ওই কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পলিক্লিনিকের চিকিৎসক-মালিক ও তাঁর স্ত্রীর খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা ‘বেপাত্তা’। দু’জনেরই মোবাইল বন্ধ। তালা ঝুলছে ফ্ল্যাটে।

    বুধবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, ওই পলিক্লিনিকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা খতিয়ে দেখা শুরু করেছি। পলিক্লিনিকের মালিক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    মৃতের বাবা শঙ্কর ঝা’র দাবি, ঘটনার নেপথ্যে গভীর রহস্য রয়েছে। তবে ঠিক কী রহস্যের আঁচ পাচ্ছেন তিনি, তা ভাঙতে না চাইলেও শঙ্করবাবুর বক্তব্য, পুলিস তদন্ত করলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিসের ধারণা, একজন সাধারণ কর্মী হয়েও মালিক ও তাঁর স্ত্রীর ‘কাছের লোক’ হওয়ার সুবাদে পলিক্লিনিকে যথেষ্টই প্রভাব ছিল রাহুলের। কিন্তু ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে যে কোনও কারণে তাঁর সেই প্রভাব কমতে থাকে। এনিয়েই শুরু হয় টানাপোড়েন।

    পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনার আগের এক সপ্তাহ ফোনে মাঝেমধ্যেই পলিক্লিনিকের মালিক ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে চড়া সুরে কথাবার্তা চলছিল রাহুলের। তারপরই এই অঘটন ঘটে। পলিক্লিনিক সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সম্পর্ক খারাপের পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে রয়েছে কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)