মেঝেয় বসে সমস্যা শুনলেন জেলাশাসক ও কৃষি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি
বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মেঝেয় বসে রয়েছেন কৃষি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মিনা, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে বসে তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা শুনলেন। ঠিক যেন ঘরের লোক। কেউ বললেন, স্যার, গ্রামের রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। একটু দেখুন। আবার কেউ বলছেন, ম্যাডাম নিকাশি ব্যবস্থাটা একটু দেখলে ভালো হয়। বর্ধমান-১ এবং গলসি-১ ব্লকে ক্যাম্পে সবার মাঝে বসেই অভিযোগ নথিভুক্ত করলেন আধিকারিকরা। চাষিদের হাতে ধানের চারা তুলে দিলেন জেলাশাসক এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিসির ছাড়া জল এবং টানা বৃষ্টির জন্য জেলার বহু জমির ধান ও বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে বীজতলা তৈরি করে ধান রোপণ করা সম্ভব ছিল না। কৃষি দপ্তর অন্য এলাকা থেকে বীজ কিনে এনে চাষিদের সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে জামালপুর এবং রায়না এলাকার চাষিদেরও বিনামূল্যে ধানের চারা দেওয়া হয়েছে। তাতে খুশি চাষিরা। তাঁরা বলেন, এর আগে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রশাসন বাইরে থেকে ধানের চারা কিনে এনে সরবরাহ করছে, এটা ভাবাই যায় না।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বীজ পাওয়া যাওয়ায় জেলার সব জমিতেই ধান রোপণ করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে জমি থেকে জল নেমে গিয়েছে। রায়না, বর্ধমান সহ সব জায়গাতেই ধান রোপণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
আমাদের পাড়া আমাদের সমাধন ক্যাম্পে গিয়ে চাষিরা এলাকার অন্যান্য অভিযোগও নথিভুক্ত করছেন। বেশিরভাগ রাস্তা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। টানা বৃষ্টির ফলে জেলার অধিকাংশ ব্লকের রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। একই অবস্থা শহরের রাস্তা গুলিরও। রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় দুর্ঘটনা হচ্ছে। সরকার প্রতিটি বুথ পিছু অর্থ বরাদ্দ করেছে। তাই রাস্তা সংস্কারের কাজ করতে তেমন সমস্যা হবে না বলেই আধিকারিকদের দাবি। বর্ধমান শহরের রাস্তাগুলি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলার বাসিন্দারা বলছেন, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বা জেলাশাসক পদমর্যদার আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে মেঝেয় বসে সমস্যার কথা শুনছেন। এটাও আগে ভাবা যেত না। শীর্ষ স্তরের আধিকারিকরা সরাসরি সমস্যার কথা জানতে পারায় কাজ দ্রুত শেষ হবে বলেই স্থানীয়রা মনে করছেন।