• পশ্চিম বর্ধমানে ফুড পার্ক গড়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এবার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়তে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। অনুর্বর এই জেলার জমিতে বিপুল পরিমাণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সার্ভের পরেই হর্টিকালচার দপ্তরের সচিব সহ উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা আসানসোলে আসেন। সোমবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন।

    এদিনের বৈঠক থেকেই জেলার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের শিল্প সম্ভাবনা তুলে ধরেন আমলারা। সেখানে হাজির হয়েছিলেন ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়তে উৎসাহী ব্যবসায়ী থেকে বৃহৎ চাষিরা। পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলের জমির মালিক ইসিএল। কয়লা উত্তোলন করার পর বহু জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে ফলের বাগান তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা তা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মতো শুধুমাত্র ফুডপার্ক গড়া। এখানে শুধুমাত্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সংস্থাই শিল্প গড়বে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দেওয়া এই প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করেছে দপ্তর। এই প্রস্তাব দেওয়া থেকেই স্পষ্ট, কতটা উৎসাহিত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই শিল্পাঞ্চলে নতুন শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

    জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। নতুন শিল্প তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

    এদিনের বৈঠকে যোগ দেন হর্টিকালচার দপ্তরের সচিব স্মারকি মহাপাত্র, হর্টিকালচারের ডিরেক্টর দীপ্তেন্দু বেরা। তাঁদের উপস্থিতিতে দপ্তরের আধিকারিকরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প করতে কী কী সরকারি সুবিধা পাওয়া যায়, তা তুলে ধরেন। যেমন-গ্রিন হাউস গড়তে ৫০ শতাংশ সাবসিডি দেয় রাজ্য সরকার। আড়াই কোটি টাকার মধ্যে থাকা স্মল ও মাইক্রো ফুড প্রসেসিং ইউনিট গড়তেও মেলে সরকারি সাবসিডি। তারপরে জেলায় কীধরনের হর্টিকালচার সামগ্রী তৈরি হচ্ছে, তা তুলে ধরা হয়। যা দেখে উৎসাহিত হন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যে এইরকম ব্যাপক পরিমাণে হর্টিকালচার সামগ্রী হচ্ছে, তা আমাদের জানাই ছিল না। এরপরই তাঁরা রাজ্যকে ফুডপার্ক তৈরির প্রস্তাব দেন।

    ব্যবসায়ী রোহিত খৈতান বলেন, প্রশাসনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। অনেক ক্ষেত্রেই সিমেন্ট ও ইস্পাত কারখানার দূষণের জন্যই খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করার ইউনিট তৈরি করা যায় না। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলা হলে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে উৎসাহী হবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)