সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সাইকেলের টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি নবদ্বীপ মাজদিয়া- পানশিলা পঞ্চায়েতের মাজদিয়া কালীতলার রাস্তায়। বুধবার দুপুর থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। দীর্ঘসময় ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নবদ্বীপ থানার পুলিস। আন্দোলনকারীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত জেলার পিএমজিএসওয়াই দপ্তর থেকে কেউ না আসেন ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে। অবশ্য এদিন বিকালে ডব্লুবিএসআরডিএ-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার স্বপন পণ্ডিত এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তার পর বিকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।
উল্লেখ্য, নবদ্বীপ ব্লকের মুকুন্দপুর বাজার মোড় থেকে ফকিরতলা মোড় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা তো বটেই, এই রাস্তা দিয়ে স্বরূপগঞ্জ, ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া, মহিশুড়া পঞ্চায়েত রুইপুকুরের গ্রামবাসীদের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়েই নবদ্বীপ ব্লক অফিস মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল, পঞ্চায়েত অফিস যেতে হয়। সেইসঙ্গে স্থানীয়, পানশিলা গার্লস হাইস্কুল, ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ সহ আশপাশের বেশ কিছু স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়ারাও যাতায়াত করেন। বৃষ্টি হলেই রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে যায়। সাইকেল, বাইক, টোটোর চাকা জলের তলায় থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, আজ থেকে এক বছর আগেও আমরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলাম। সেসময় আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও, নবদ্বীপ থানার আইসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। তখন বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে রাস্তা সারাই করা হবে। কিছু কাজও হয়েছিল। রাস্তার কাজ পুরোপুরি না হওয়ায় এক বছর পর গ্রামবাসীরা এদিন আবার পথ অবরোধ করেন। এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এই রাস্তায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তপন মণ্ডল বলেন, ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। কয়েক বছর পর থেকেই রাস্তার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। ২০১৬ সালের পর থেকে রাস্তার অবস্থা একেবারেই বেহাল হয়ে পড়ে। আটটি অঞ্চলের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বারবার রাস্তার বিষয়ে জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পিএমজিএসওয়াই দপ্তরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু, হচ্ছে হবে বলে আশ্বাস দিয়েও রাস্তা সারাই হয়নি।