• ফকিরতলা মোড় সংলগ্ন দেড় কিমি রাস্তার অবস্থা বেহাল
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ ব্লকের ফকিরতলা মোড় থেকে ভাগীরথী বিদ্যাপীঠ মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায় রয়েছে। পিডব্লুডির এই রাস্তাটির বেশকিছু জায়গায় কোথাও একাধিক বড় গর্ত, কোথাওবা পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে গিয়েছে। বেশকিছু জায়গা এতটাই খারাপ যে টোটো, অটো এবং বাস ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। রাস্তাটির বেশকিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় পাশাপাশি দু’টি গাড়ি যেতে গিয়ে ব্যাপক যানজট তৈরি হচ্ছে। এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

    জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ ঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এটি। এই রাস্তা দিয়ে ভোর পৌনে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন ১৯টি বাস ও দু’শোর বেশি অটো নবদ্বীপ ঘাট থেকে কৃষ্ণনগর স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এছাড়া বিভিন্ন পঞ্চায়েতের একাধিক টোটো চলাচল করে। নবদ্বীপ মহেশগঞ্জে বিডিও অফিসে বা মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে স্বরূপগঞ্জ, মাজদিয়া–পানশিলা ও চরমাজদিয়া–চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি। রাস্তার এহেন বেহাল দশার কারণে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রোগী এবং তাদের পরিজনরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত তিন-চার মাস আগে রাস্তাটি জোড়াতালি দিয়ে সারানো হয়। তবে, কিছুদিনের মধ্যে রাস্তাটি আবারও ভেঙে গিয়েছে। স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা অটোচালক রাজু ঠাকুর বলেন, ফকিরতলা মোড় থেকে গৌড়ীয় মঠ পর্যন্ত রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গা খানাখন্দে ভরা। তাতে বৃষ্টির জল জমছে। 

    প্রতিদিন সকাল-বিকেল নবদ্বীপ ঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে কৃষ্ণনগরে যেতে হয়। এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় লাগে। যেকোনও সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে। রাস্তার কিছু জায়গা এতটাই খারাপ যে সাইকেল চালিয়েও যাওয়া যায় না। নবদ্বীপ ঘাট সংলগ্ন সমাজকল্যাণ এলাকার বাসিন্দা রুহিদাস দেবনাথ বলেন, কাকে কী বলব? রাস্তার পরিস্থিতি তো সবাই দেখতেই পাচ্ছে। নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রুটের বাস কন্ডাক্টর সঞ্জিত কর বলেন, রাস্তার সমস্যা রয়েছে। তার থেকেও বড় সমস্যা, নবদ্বীপ ঘাট-কৃষ্ণনগর রুটের ফকিরতলা মোড় থেকে কৃষ্ণনগর শিমুলতলা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ৪৪টি হাম্প রয়েছে। ফলে আমাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে।

    পূর্তদপ্তরের নদীয়া হাইওয়ে ডিভিশন-১ এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল ইসলাম বলেন, এই পিচ রাস্তাটির কাজ পুজোর আগেই শুরু হবে। ইতিমধ্যে টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে এই মুহূর্তে বর্ষার সময় বিটুমিন দিয়ে কাজ না করার নির্দেশ আছে। সেকারণে রাস্তা সচল রাখার জন্য আপাতত অস্থায়ীভাবে ঝামা ইট দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)