• যুব আবাসের অনলাইন বুকিং বন্ধ, বিপাকে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: জুলাইয়ের শেষ থেকে রাজ্যের যুব আবাসগুলি অনলাইনে বুক করা যাচ্ছে না। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন কম খরচে ঘুরতে আগ্রহী পর্যটকরা। বাধ্য হয়েই মোটা টাকা খরচ করে বেসরকারি হোটেল বুক করতে হচ্ছে তাঁদের। পুজোর মরশুমে বেশ খানিকটা আগে বুক না করলে ঘর পাওয়া মুশকিল হয়। এবছর আবার পুজো অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। 

    ফলে বহু মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, যাঁরা কম খরচে ঘুরতে চান, তাঁরা যুব আবাস বুক করতে গিয়ে হয়রান হচ্ছেন। সস্তায় থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকায় বেশ জনপ্রিয় রাজ্য সরকারের যুব কল্যাণ দপ্তরের যুব আবাসগুলি। সেগুলির অবস্থান ও অনলাইন বুকিংয়ের সুবিধে থাকায় মানুষ আগে যুব আবাসেরই খোঁজ করে। দীঘা ছাড়াও উত্তরবঙ্গের গাজলডোবা, মাদারিহাটে রয়েছে যুব আবাস। এছাড়া মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়ার খ্যাতনামা হিল স্টেশন অযোধ্যা, বর্ধমান জেলার মাইথন, বাঁকুড়ার মন্দির শহর বিষ্ণুপুর কিংবা মুকুটমণিপুর— এরকম রাজ্যের মোট ৩৪টি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলে যুব আবাস রয়েছে। যেগুলি ঘরে বসে অনলাইনে বুক করার ব্যবস্থা ছিল। যুব আবাসের আধুনিক সুযোগ সুবিধেও পর্যটকদের পছন্দ ছিল। দেদার বুকিং থেকে সরকারের ঘরে রাজস্বও আসছিল। কিন্তু ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিকে হতাশ করে এই বছর ২৯ জুলাই থেকে যুব আবাসগুলির অনলাইন বুকিং বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার জেরে চরম সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা। প্রতিদিনই পর্যটকরা যুব দপ্তরের ওয়েবসাইট খুলে বুকিং করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা করা যায়নি। বিপাকে পড়েছে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি। সরকারও বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইটটি তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নতুন এক সংস্থা বরাত পেয়েছে। প্রযুক্তিগত কারণেই এখনও অনলাইন বুকিং চালু হয়নি। পুজোর বুকিংয়ের মরশুমে এই রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে পর্যটকদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, অনলাইন বুকিং করা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা রাজ্যের নজরে এনেছি।
  • Link to this news (বর্তমান)