• জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ
    বর্তমান | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বর্ধমান: প্রেমিকাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানিয়ে বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই প্রেমিকা। তার ভিত্তিতে ধর্ষণের কেস রুজু হয়। কিন্তু, ঘটনাস্থল বর্ধমান থানা এলাকা হওয়ায় ছাতনা থানা থেকে এফআইআর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্ধমানের সিজেএম কেস রুজু করে তদন্তের জন্য আইসিকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে কেস রুজু করে বর্ধমান থানা। যদিও অভিযুক্ত ওই জুনিয়র ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন করে অভিযুক্ত। চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত সপ্তাহে দু’দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে এধরনের অপরাধ না করার এফিডেভিট করে মুচলেকা দেওয়ার শর্তে অভিযুক্তের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন জেলা জজ সুজয় সেনগুপ্ত। 

    অভিযুক্তের দুই আইনজীবী পার্থ হাটি ও গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রেমিকা সাবালিকা। তাই এক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে আদালতে তুলে ধরা হয়। তাছাড়া ঘটনার কয়েকদিন পর অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলা জজ তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এফিডেভিট জমা দেওয়ার শর্তে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। ১০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনা এলাকায় ওই যুবতীর বাড়ি। তাঁর সঙ্গে ঘটনার মাস দু’য়েক আগে বাঁকুড়া থানার সারেঙ্গা থানা এলাকার ওই চিকিৎসকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ক্রমে দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়। ৬ জুলাই প্রেমিকাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ডেকে পাঠায় ওই চিকিৎসক। প্রেমিকের কথামতো দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই যুবতী হস্টেলে পৌঁছে যান। ওই যুবতীকে চিকিৎসক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। নানাভাবে তাঁর মন জয়ের চেষ্টা করে। এরপর যুবতীর সঙ্গে সে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে অভিযোগ। 

    তারপর থেকেই ওই যুবতীকে সে এড়িয়ে চলতে থাকে। যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এমনকী যুবতীর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক সে ছিন্ন করে দেয়। এরপর গত ১৬ জুলাই ওই যুবতী ছাতনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে বহিরাগতকে নিয়ে হস্টেলের ঘরে একজন চিকিৎসক ঢুকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।-ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)