বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারত সরকার। কিন্তু সেই পরিবারের তিন সদস্যের কোনও খোঁজ নেই বাংলাদেশে। নিখোঁজদের মধ্যে দু’জন নাবালক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ওই পরিবারের ৩ নিখোঁজ সদস্যকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। নিখোঁজ সদস্যদের খোঁজ পেতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে হেবিয়াস কর্পাস মামলা।
যদিও মঙ্গলবার হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি আপাতত স্থগিত করে দেয়। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা বিচারাধীন। এই সংক্রান্ত মূল মামলার শুনানি রয়েছে ২৯ আগস্ট। সেই দিকেই নজর হাইকোর্টের। ফলে আপাতত এই শুনানি স্থগিত রাখা হচ্ছে। পরবর্তী শুনানির দিন ১০ সেপ্টেম্বর ধার্য করে বেঞ্চ।
অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অভিবাসী বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার পরিপেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট আটটি রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অভিবাসীদের নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আরও দুটি মামলা বর্তমানে দিল্লি হাইকোর্টে বিচারাধীন। এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সব মামলার প্রসঙ্গ তুলে জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশে পাঠানো এই পরিবারের মামলাটিও সেইসব মামলার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়।
আদালতে কেন্দ্রের তরফে এএসজি (অ্যাডিশনাল সেশন জাজ) অশোক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘যদি ওঁদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়ে থাকে, তা হলে সেটা হেবিয়াস কর্পাসের আওতায় পড়ে।’
উল্লেখ্য, ভোদু শেখ নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করে জানিয়েছেন, জুন মাসে তাঁর দাদু এবং দুই নাবালককে বাংলাদেশে জোর করে (পুশব্যাক) পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু বাংলাদেশে তাঁদের পৌঁছনোর কোনও খবর এখানকার পরিবারের কাছে নেই।