প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের কারা ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৪১ লক্ষ টাকা। এরপরে বহুবার ইডির তরফ থেকে তলব করা হয় মন্ত্রীর। কিন্তু বেশ কয়েকবার হাজিরা দেননি তিনি। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিটে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের অনুমোদনের পর আদালতে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার আদালতে এমনটাই জানিয়েছে ইডি। আগামী ১২ সেপ্টেম্বরে রাজ্যের কারা ও ক্ষুদ্র কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের পরেই জামিনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন চন্দ্রনাথ।
চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার সিবিআই আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। কিন্তু রাজভবন থেকে অনুমোদন না মেলায় বিচার প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি হয়। তবে চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে হওয়া চার্জশিটে রাজ্যপালের অনুমোদন মেলার পর এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া এগোবে বলে আশা করছে ইডি আধিকারিকরা। বুধবার আদালতের পক্ষ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দেন ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক। সূত্রের খবর, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে হবে মন্ত্রীকে। রাজভবনের অনুমোদনের পর চন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘আজকের পর আমাকে জামিন নিতে হবে। সব কিছু শুনেছি, কিন্তু কোনও কাগজ এখনও হাতে পাইনি। তাই কাগজপত্র হাতে এলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করব।’ অর্থাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের পর আদালতের নির্দেশ মেনে আত্মসমর্পণ ও জামিনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেপ্তারের পর চন্দ্রনাথ সিনহার নাম উঠে আসে। ইডির তলবের পরেও চন্দ্রনাথ কয়েকবার তা এড়িয়ে যায়। কিন্তু পরে তিনি ইডির কাছে হাজিরা দিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। চন্দ্রনাথের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি আধিকারিকেরা তাঁর বাড়ি থেকে ফোন সহ প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে। পাশাপাশি ইডির দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকার অস্বচ্ছ লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এইসমস্ত তথ্য চার্জশিটে পেশ করেছে ইডি আধিকারিকেরা। এমনকি ইডির নির্দেশ অমান্য করারও কথা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।