• আবর্জনায় ‘অসুস্থ’ পান্ডুয়া হাসপাতালই
    আনন্দবাজার | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • হাসপাতালে রোগীর পরিচ্ছন্নতার উপরে গুরুত্ব দেওয়াই দস্তুর। অথচ, জিটি রোডের ধারে প্রায় দশ বিঘার কাছাকাছি জমির উপরে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সর্বত্র অপরিচ্ছন্নতার ছাপ স্পষ্ট। পান্ডুয়া ছাড়াও বিভিন্ন ব্লকের রোগীরা এখানে আসেন। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, এখানে এলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন রোগী! আগে নজর দেওয়া হোক হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতায়।

    হাসপাতালে এক পাক ঘুরলেই নজরে আসে, সর্বত্র পড়ে রয়েছে জঞ্জাল। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য যে পৃথক শৌচালয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলি আগাছায় ঢাকা। ফলে, সেখানে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। হাসপাতালের নিকাশি নালাগুলি আবর্জনায় ভর্তি। রোগীদের ক্ষোভ, প্রায় হাসপাতালে সাপের দেখা মেলে। রোগীর পরিজনেরা অনেকে জানালেন, হাসপাতালে সামনেআলো বন্ধ থাকে। ফলে যাতায়াতে সমস্যা হয়।

    হাসপাতাল চত্বরের চারিদিক পার্থেনিয়ামে ঢেকে যাচ্ছে। সেগুলি কেন কাটানো হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। ঘনশ্যাম সাউ নামে এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়কে নিয়ে গিয়েছিলাম। মশার কামড়ে বসতে পারিনি। ভাবছিলাম, ওখানে থাকা রোগীদের তা হলে কী হাল!’’ অনুদ্যূতি চক্রবর্তী নামে এলাকার আর এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘রাতে হাসপাতালে চত্বরে আলো বন্ধ ছিল। সেটা কেন হবে? এত নোংরা পরিবেশে স্বাস্থ্য ফিরবে কোনও রোগীর?’’

    সমস্যা যে আছে, তা মানছেন পান্ডুয়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মঞ্জুর আলম। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল পরিষ্কার করার যে অর্থ প্রয়োজন, তা আমাদের নেই। সমস্যায় রয়েছি। এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছি।’’ তিনি জানান, যে দু’জন ঝাড়ুদার রয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত হাসপাতাল চত্বর সাফ করেন। তাঁরাই নিয়মিত ব্লিচিং পাউডারও ছড়ান।

    পান্ডুয়ার বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস বলেন, ‘‘হাসপাতালের এমন অবস্থা হচ্ছে কেন, খোঁজ নেব। তবে সমিতি থেকে এক জন ঝাড়ুদারকে ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)