• ‘বিএলএ’ বাছতে ময়দানে তৃণমূল
    আনন্দবাজার | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • মাস তিনেক আগেই বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্টের তালিকা তৈরি করেছে দল। তার পরে তাঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। তবে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের আবহে আলিপুরদুয়ার জেলায় এ বার সেই বিএলএ-দের তালিকায় ঝাড়াই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল শিবির।

    সূত্রের খবর, বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কথা মাথায় রেখে জেলায় দলের বিএলএ-দের তালিকা আরও শক্তিশালী করতে চায় রাজ্যের শাসক দল। ফলে মাস তিনেক আগে তৈরি হওয়া তালিকা থেকে বেশ কিছু নাম বাদ পড়তে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। যদিও বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া বলে তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি।

    উত্তরের এই জেলায় তৃণমূলের বিএলএ- ১ পদে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি বলেন, “এটা অবশ্যই একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এটাও লক্ষ্য, জেলায় দলের বিএলএ-দের তালিকাটা যতটা বেশি সম্ভব শক্তিশালী করা। সেই কাজও চলছে।”

    তৃণমূলের জেলা নেতাদের একাংশ জানিয়েছেন, মাস তিনেক আগে জেলায় যখন বিএলএ-দের তালিকা তৈরি করা হয়, তখনকার পরিস্থিতিও একেবারে আলাদা ছিল। সেই সময়ে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করাই দলের লক্ষ্য ছিল। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। দেশ জুড়ে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে বিতর্কের আবহে সত্যিকারের কোনও ভোটারের নাম যাতে তালিকা থেকে বাদ না-যায় সেটাও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে। ফলে, বিএলএ তালিকায় কিছুটা বদল অবশ্যম্ভাবী। তা ছাড়া অ্যাপ-নির্ভর কাজে যাঁরা পারদর্শী কিংবা এই কাজে যাঁরা চৌকস তাঁদের বেশি করে বিএলএ-এর তালিকায় আনা হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত।

    বিজেপির জেলা সভাপতি মিঠু দাস বলেন, “ভুয়ো ভোটারদের বাঁচাতে তৃণমূল এখন অনেক চেষ্টাই করবে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। ওরা যা-ই করুক না কেন এ রাজ্যের বা এ জেলার ভোটার তালিকা থাকা ভুয়ো ভোটারদের বাঁচাতেপারবে না।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)