• ভেলায় ভরা নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা
    আনন্দবাজার | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • নদী পারাপারে ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। বছর দুই আগে বর্ষায় জলের তোড়ে তা ভেসে যায়। তার পরে মাথাভাঙা ১ ব্লকের বৈরাগীহাট পঞ্চায়েতের পশ্চিম জমিরডাঙা এলাকার ধারার ঘাটে শিউলি নদীতে আর সাঁকো তৈরি হয়নি। পড়ুয়া থেকে স্থানীয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থার্মোকলের তৈরি ভেলায় ভেসে নদী পেরোচ্ছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাকা সেতুর দাবি তাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে জানিয়ে আসছেন। তার পরেও কারও কোনও হেলদোল নেই। ভরা বর্ষায় নদীতে এখন অনেক স্রোত। তার পরেও নদী পেরোতে থার্মোকলের তৈরির ভেলা ভরসা। তাতে পড়ুয়াদের জামা-কাপড় ভিজে যায়। সেই অবস্থায় স্কুলে যেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন বর্মণ বলেন, ‘‘বছরের পর বছর ধরে আমরা এ ভাবেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।’’ আর এক বাসিন্দা কল্যাণী বর্মণ বলেন, ‘‘সাঁকো না-থাকায় আমাদের তিন কিলোমিটার ঘুরতে হয়। আমরা গরিব মানুষ। প্রতিদিন ৪০ টাকা করে খরচ করে টোটোয় ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারি না। বাধ্য হয়ে তাদের ভেলায় পার করিয়ে স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে।’’

    স্কুলপড়ুয়া রূপালি রায় বলেন, ‘‘প্রতিদিন জামাকাপড় ভিজিয়ে ভেলায় করে নদী পার হয়ে আমাদের স্কুলে যেতে হয়।’’

    গ্রামবাসীরা জানান, পাকা সেতুর দাবিতে মাথাভাঙা মহকুমা শাসকের দফতের তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। তার পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নিবলে অভিযোগ।

    অন্নদা অধিকারী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘পাকা সেতু না-হওয়া পর্যন্ত প্রশাসন অন্তত বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিক।’’

    বৈরাগীরহাট পঞ্চায়েত প্রধান সাধনা বর্মণ বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে রয়েছে। আপাতত জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকো তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

    মাথাভাঙা ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজিবুল হাসান সাগর বলেন, ‘‘সমস্যার কথা শুনেছি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)