• চাকরি ফেরত নিয়ে শঙ্কায় বহু শিক্ষক
    আনন্দবাজার | ২১ আগস্ট ২০২৫
  • বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে বিক্ষোভ আন্দোলনের মঞ্চ ফাঁকা। আগামী দিনে তাঁরা কী ভাবে এগোবেন তার কোনও রূপরেখা এখনও তৈরি হয়নি। সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশনের ফল বেরোনোর পরে হতাশ চাকরিহারা শিক্ষকেরা। তাঁরা এটুকু বুঝে গিয়েছেন, আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসা ছাড়া তাঁদের অন্য উপায় নেই। তাই আন্দোলন মঞ্চ ছেড়ে এখন শেষ মুহূর্তে পড়াশোনায় মন দিতে হয়েছে প্রায় সবাইকেই। কিন্তু সেখানেও জমেছে অনিশ্চয়তার মেঘ। প্রশ্ন উঠেছে, পড়াশোনা করছেন ঠিকই। পরীক্ষায় পাশ করলেও ২০২৫ সালের এসএসসির নতুন নিয়মে শেষ পর্যন্ত শিক্ষকতার চাকরিটা ফিরে পাবেন তো?

    ২০২৫ সালের এসএসসির নতুন বিধিতে সাধারণ প্রার্থীদের যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু এসএসসির আগের নিয়োগ অর্থাৎ ২০১৬ সালের নিয়োগের ক্ষেত্রে একই নিয়ম থাকলেও সেখানে বলা হয়েছিল কোনও প্রার্থী যদি ২০১০ সালের আগের স্নাতক হন, তা হলে সে ক্ষেত্রে সাধারণের জন্য ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ এবং সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেলেও চলবে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা মেহেবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের পরিচিত বেশ কয়েক জন চাকরিহারা শিক্ষক আছেন যাঁরা ২০১০ সালের আগের স্নাতক। তাঁরা ২০১৬ সালের নিয়মে স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন। ছ’বছর চাকরি করলেন। তাঁরা ফের পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেও চাকরি ফিরে পাবেন তো? এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করতে দিয়েছে সকলকেই। কিন্তু ফল বেরোনোর পরে ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁরা বাতিল হয়ে যাবেন না তো?’’

    স্কুল সার্ভিস কমিশন এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন সবাই ফর্ম ফিলআপ করতে পারছেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রভিশনাল অ্যাডমিট কার্ডও পাচ্ছেন। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন-এর নিয়ম মেনে নিয়োগ হওয়ার কথা। নিয়মের কোনও রদবদল হবে কি না তা পরীক্ষার পরে হয় তো ভাবা হবে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)